মনিরুজ্জামান মাগুরা প্রতিনিধি

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটবে আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর। স্কুল খোলার খবরে ক্লাস রুম ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে পাঠদানের জন্য। কিন্তু সেই স্কুলের খেলার মাঠে বছরের ৮ মাস থাকে জলাবদ্ধতা। পানি জমে থাকার কারণে মশা, সাপ ও জোঁকের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যার কারণে পাঠদান ব্যাহত হবে। ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের আশে পাশে ঘনবসতি হওয়ায় কারনে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘ স্থায়ী রুপ নিয়েছে। শনিবার (১১সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দেখা যায়, স্কুলের মাঠ নিচু হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয় না। অল্প কিছু অংশে পানি না থাকলেও তা কর্দমাক্ত ও স্যাঁতসেঁতে। বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে পাঁকা রাস্তা এবং অন্য তিন পাশে ঘন বসতি। আগের ইউএনও মিজানুর রহমান এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসত বাড়ির পাশ দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের কালভাট বসালেও স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়ে তা সফল হয়নি।স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জিসান আহম্মেদ বার্তা ১০কে জানায়, প্রায় দেড় বছর পরে স্কুলে যাবো। কিন্তু স্কুলে আসতে গেলে নোংরা পানির ভেতর দিয়ে আসতে হয়। পানিতে জোঁক, সাপ থাকে। এতে আমাদের ভয় লাগে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাহিদ পারভীন বলেন, স্কুলে ৩৩৯ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। স্কুলের রেজাল্টও যথেষ্ট ভালো হয়ে থাকে। এ স্কুলের জলাবদ্ধতার জন্য পাঠদানসহ সহশিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্কুল কমিটি ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। শুনেছি স্থানীয় কয়েক জন প্রভাবশালী লোক জনের কারণে জলাবদ্ধতার বিষয়টির সমাধান হচ্ছে না। সরেজমিন গিয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত জলাবদ্ধতা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।