রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ

রাজবাড়ীতে বিএনপির সমাবেশ ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের আদর্শ মহিলা কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

চাল ডাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং গায়েবি মামলায় গ্রেফতার নির্যাতনসহ সরকার পদত্যাগের ১০দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান মাশুক।

২০ মে শনিবার সকাল ১১ টায় রাজবাড়ী জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ী পৌরসভার সজ্জনকান্দা এলাকার বিএনপির সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাড়িতে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে।

পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে ২০ জনের বেশি আহত হন।

এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের সময় এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কাজী তানভীর মাহমুদ ও গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি খন্দকার রবিউল ইসলাম আহত হন।

বিএনপির সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় রাজবাড়ী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। পরবর্তীতে আমরা মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, বিএনপির সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।