মোহাম্মদ আলী উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি:

বগুড়ার শিবগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে সাইদুল ইসলাম ওরফে রাজিব নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার কিচক ইউনিয়নের কেকারপাড়া-মোলামগাড়ী এলাকার কাঁচা রাস্তার পা‌শ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।নিহত রাজিব পেশায় গ্রিল মিস্ত্রি ছিলেন।সে কিচক ইউনিয়নের বেলাই কারূন্ডা গ্রামের শাহাদাত হোসেন সাদোর ছেলে।শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, নিহত যুবকের শরীরে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই সোহেল রানা বলেন,‘সাইদুল ইসলাম রাজিব গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রাজা বিরাটে গ্রিল মিস্ত্রির কাজ করতো।মাঝে মধ্যে অনেক রাতে বাড়ি ফিরতো। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরেননি। শনিবার সকালে রাস্তার পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’সাইদুলের স্ত্রী শাকিলা বেগম জানান,শুক্রবার সকাল ৯টায় গ্রিলের কাজ করার উদ্দেশে পাশ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন রাজা বিরাট এলাকায় যান। কিন্তু কাজ শেষে সেখান থেকে তার স্বামী রাতে বাড়ি ফিরেনি। স্বামীর মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিয়ে বন্ধ পেয়েছেন। শাকিলা বলে, আজ শনিবার সাড়ে ৬টার দিকে এলাকায় খবর পেয়ে জানতে পারি আমার স্বামীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। আমি প্রসাশনের কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। শনিবার বিকেল চারটায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশ নিহত রাজিবের হত্যার ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল আলম। প্রেস বিফ্রিংয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন,‘ আসামি কেকারপাড়ার হানজালা প্রামাণিকের ছেলে মাসুদ (২৪) ওরফে ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত ফারুক মহাস্থান বাজারে একটি রডের দোকানে মাঝে মধ্যে দিনমজুরের কাজ করতো।তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুরতার জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে মাসুদ ওরফে ফারুক ধারালো বার্মিজ চাকু দিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে সাইদুল’কে হত্যা করে পালিয়ে যায়। দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাসুদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু পাশ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার পর মাসুদ তার বাড়িতেই অবস্থান করছিল। বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিজ বাড়ি থেকে ফারুককে আটক আটক করা হয়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় আরও দুজনের সম্পৃক্ত আছে বলে পুলিশ মনে করছে। এ বিষয়েও তদন্ত চলছে।এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়া কিংবা ভাগবাটোয়ারা এবং গ্রুপিংয়ের জেরে এ হত্যা কান্ড ঘটেছে।