রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের ৪১জন নেতাকর্মীদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
২১ শে মে রবিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্টেট মোঃ সুমন হোসেন এর ব্রেন্জ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলায় এক নম্বর আসামী করা হয়েছে ফারজানা ইয়াসমিন ডেইজীকে। তিনি জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর বাড়ি শহরের বিনোদপুর গ্রামে। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আফসার আলী সরদার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খায়রুল আনাম বকুল, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী নেকবার হোসেন, কাউসার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। আসামীপক্ষ জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আইনজীবী নেকবর হোসেন মনি। তিনি বলেন আমাদের নেতা কর্মিদের নামে মিথ্যা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সামনে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বিএনপির কর্মীরা আওয়ামীলীগের কর্মীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমন করে। এতে উভয়পক্ষের কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করে। এসময় পুলিশ আওয়ামীলীগের কর্মীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তখন বিএনপির সমর্থক গোষ্ঠীরা রাস্তা আটকে জনসাধারনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত করে। আসামীরা তিনচারটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আসামীদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয়। আসামীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দান করে। তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠিসোটা দিয়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করার জন্য পুলিশের ওপর আক্রমন করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটখেল নিক্ষেপ করে। বাঁশের লাঠির আঘাতে বাদীসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবল আহত হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ন রেজা বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৪১জন আসামীর মধ্যে ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীদের দুপুরে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।