মুজিববর্ষে জেলাপ্রশাসন, রাজবাড়ী’র উদ্যোগে বাস্তবায়িত বিশেষ কর্মকান্ড।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এর জন্মশতবার্ষিকীতে জেলাপ্রশাসন, রাজবাড়ী’র উদ্যোগে শুরু থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জেলায় কর্মরত অন্যান্য দপ্তরকে সাথে নিয়ে বছরব্যাপী নানা কর্মকান্ড গৃহীত হয়েছে। মুজিববর্ষ কেন্দ্রিক বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের অন্য সকল দপ্তরকে বিশেষভাবে উদ্যোগী হওয়ার জন্য জেলাপ্রশাসন, রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে সভায় নিয়মিত আহবান জানানাে হয়।
ফলশ্রুতিতে, রাজবাড়ীর অধিকাংশ দপ্তর ইতিহাসের এ শুভক্ষণের স্মঠক হিসেবে ব্যতিক্রমী অনেক উদ্ভাবন কর্মকান্ড গ্রহণ করে যার মাধ্যমে রাজবাড়ীর জনগণ উপকৃত হচ্ছে।
জেলাপ্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগ হিসেবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে হতদরিদ্র “১০০ পরিবার”-এর কর্মসৃজনের জন্য প্রয়ােজনীয়তা যাচাই করে প্রত্যেক পরিবারকে একটি ভ্যান, রিকসা প্রদান হয়েছে এবং তাদের জীবনমান্নোয়ন মনিটরিং করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী
অফিসারগণ ও আমার বাড়ী, আমার খামার প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবীক্ষণ করা হচ্ছে। উপকারভােগীদের অধিকাংশই আমার বাড়ী, আমার খামার’ এর সমিতির সদস্য, এছাড়া মুজিববর্ষে জমিসহ গৃহপ্রাপ্ত উপকারভােগী ও জেলাপ্রশাসকের গণশুনানিতে আগতদের মধ্য হতে
আহবান করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে মুজিববর্ষে জেলার সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক মনােমুগ্ধকর “সাইকেল র্যালি” আয়ােজিত হয়, যার মাধ্যমে ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর এ জেলায় আগমণ ও তাঁর অমর
স্মৃতির প্রতি রাজবাড়ীবাসীর শ্রদ্ধা জানানাের সুযােগ সৃষ্টি হয়।বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য জেলা প্রশাসন, রাজবাড়ীর অর্থায়নে পরিচালিত প্রত্যয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়”-এর পাঠদান কক্ষসংযোজনসহ শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, শিক্ষার্থীদের আনয়নের জন্য একটি ভ্যানগাড়ি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশু কল্যাণ
প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শ্রেণিকক্ষ বৃদ্ধি করা হয়েছে কালেক্টরেট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো সম্প্রসারণ পূর্বক আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এছাড়া, পরিচালনার সুবিধাথে প্রত্যয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও কালেক্টরেট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকূলে ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকার স্থায়ী
সঞ্চয়ী আমানত করা হয়েছে। মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে প্রায় ৪০(চল্লিশ) লক্ষ টাকা ব্যয়পূর্বক “রাজবাড়ী শিশুপার্ক”-এ শিশুদের জন্য বিভিন্ন বাইডস সংযােজনসহ আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যা জেলার শিশুদের আকর্ষণীয় এক বিনােদন কেন্দ্র হিসেবে বর্তমানে বিবেচিত হচ্ছে।
গােয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়ার যুবদেরকে কারিগরি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধকরতে এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে সম্পৃক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সম্ভব সকল অংশীজনদের অংশগ্রহণে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ইতােমধ্যে উপজেলা প্রশাসন, গােয়ালন্দ এর তত্ত্বাবধানে ডাইভিং, ব্লক-বাটিক প্রশিক্ষণ, পাটজাত পণ্য প্রস্তুতকরণ সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণে পিছিয়ে পড়া এ জনগােষ্ঠী হতে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে মনােনীত করা হয়েছে। অন্যান্য দপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ব্রোথেলের কিশোর-কিশােরীদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে।
জেলাপ্রশাসন, রাজবাড়ীর উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে গৃহীত প্রণিধানযােগ্য অন্যান্য কর্মকান্ডের মধ্যে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে মুজিব কনার স্থাপন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ঘিরে শতাধিক দুর্লভ ছবি সম্বলিত ‘জানা-অজানায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রকাশনা, বৃক্ষরােপন, আন্তঃবিভাগীয়
টেনিস টুর্নামেন্টের আয়ােজন, ঢাকা ম্যারাথন-২০২১ আয়ােজন, রেভিনিউ কোর্টের পৃথক এজলাস স্থাপন, কর্মপরিবেশ উন্নয়নে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে ডে-কেয়ার স্থাপন, ডিজিট্যাল রেকর্ডরুম ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন লাইসেন্স ডিজিটালি প্রদান, মুক্তমঞ্চ আধুনিকায়ন,
ছাদ বাগানসহ অফিস প্রাঙ্গণের সৌন্দর্যবৃদ্ধি এবং সেবা সহজিকরণে বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে।
অপ্রতিরােধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শীর্ষক মােটর শােভাযাত্রা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস ২০২১ উদযাপনের এ শুভক্ষণে বাংলাদেশের অর্জন অপ্রতিরােধ্য। সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা,শিক্ষার হার ও মান উন্নয়ন, শিশু ও নারীসহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, সড়ক, রেল, নৌ-যােগাযােগ ও গ্রামীণ অবকাঠামাে উন্নয়ন, কৃষির বিকাশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে রাজবাড়ী জেলায় সরকারি দপ্তরসমূহ কর্তৃক সরকারের বাস্তবায়িত প্রধান প্রধান অর্জনগুলাে তুলে ধরতে ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখ
সকাল ১০ টায় একটি বর্ণাঢ্য মােটর শােভাযাত্রার আয়ােজন করা হয়েছে, যা বীরমুক্তিযােদ্ধা শহিদ খুশি রেলওয়ে ময়দান হতে শুরু হয়ে জেলার প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে সমাপ্ত হবে।