মোঃ আল-আমীন হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ

প্রস্তাবিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার টাঙ্গাইলে ঘাটাইল উপজেলার পরিবর্তে পাশের মধুপুর উপজেলায় স্থানান্তরের প্রতিবাদে ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের মিথ্যা বক্তব্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘাটাইল শেখ কামাল আইটি পার্ক বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যাগে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ঘাটাইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপিত না হলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে অবাঞ্ছিত করার হুঁশিয়ারি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঘাটাইল শেখ কামাল আইটি পার্ক বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আতিক হাবিব।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি হাই-টেক পার্কের অনুকূলে ১২ একর ৭৭ শতাংশ জমি বিনামূল্যে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ১ লাখ ১ হাজার টাকায় নামমাত্র মূল্যে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের গৌরিশ্বর মৌজায় ১২ একর ৭৭ শতাংশ খাস জমির দলিল সম্পাদনের কাজ শেষ হয়।

কিন্তু জানা যায়, একনেকের সভায় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী উপজেলা মধুপুরের নামে। বিষয়টি জানার পর আমার বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। পরর্বতীতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি ঘাটাইলের উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলেন সাংবাদিকের বলেন, আইটি পার্কের বিষয়ে কিছু জানেন না। সেক্ষেত্রে আইটি পার্কটি ঘাটাইল থেকে মধুপুরে স্থানান্তরের প্রশ্ন আসে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা ঘাটাইলবাসী তার এমন বক্তব্যে আশ্বস্ত হই। কিন্ত সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রীর একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে আমরা ঘাটাইলবাসী স্তম্ভিত হই। আমরা এমন মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। যেহেতু তিনি আমাদের ঘাটাইলের অধিকার হরণ করেছেন, এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে। অন্যথায় ঘাটাইলের সাধারণ জনগণ কঠোর আন্দোলনসহ কৃষিমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে।