ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর উল্লাপাড়া উপজেলা ধরইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: জহুরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক ফজলুর হক বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন নিরাপত্তা কর্মী পদে ধরইল গ্রামের মো: শাহ আলম এর পুত্র মো: আতিকুল রহমান, নৈশ প্রহরী পদে ধরইল গ্রামের মনসুর রহমান এর পুত্র মাহমুদুল হাসান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ধরইল গ্রামের আফজাল হোসেন এর পুত্র মকনিরুল ইসলাম ও আয়া পদে চেংটিয়া গ্রামের মো: সোহেল রানা এর স্ত্রী মোছা: শারমিন খাতুন। (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) তারিখে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলা ধরইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪টি পদে নিয়োগদান করার জন্য বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গত ৭/৯/২০২৩ইং তারিখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চাকুরী প্রত্যাশিতরা বিভিন্ন পদে আবেদন করেন। নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার পূর্বেই নিরাপত্তা কর্মী পদে নন্দকুশা গ্রামের আব্দুল আজিজ এর পুত্র শফিকুল ইসলাম সুজন এর নিকট থেকে ১৪ লাখ, নৈশপ্রহরী পদে মাঝিপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর পুত্র শাহিন আলম এর নিকট থেকে ১০ লাখ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ধরইল গ্রামের হারুন অর রশিদ এর পুত্র হৃদয় হোসেন এর নিকট থেকে ৯ লাখ ও আয়া পদে ধরইল গ্রামের আমিরুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন এর নিকট থেকে ১১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: জহুরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক ফজলুর হক।
ধরইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর হক বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’র পর নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন কার্যক্রম শুরু করেনি। অভিযোগকারীরা বিভিন্ন পদে আবেদন করেছে। নিয়োগটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এই অভিযোগগুলো বিভিন্ন মহলে দিচ্ছে।
ধরইল উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, বাঙ্গালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নিরাপত্তা কর্মী ও নৈশপ্রহরী পদে আবেদন করেছে। আবেদন করার পর পরই আমার নিকট থেকে চাঁদা দাবী করেছে। আমি চাঁদা দেয়নি। চাঁদা না দেওয়ার কারণে তারা আমাকে বলে গেছে, এই নিয়োগ হতে দিব না। নিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তাই তারা বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দিচ্ছে।