নন্দীগ্রাম থেকে মামুন আহমেদঃ

নন্দীগ্রামে পৌরসভার অর্থায়নে ঘর পেয়ে অবশেষে হাসি ফুঁটেছে এলিনার মুখে। নন্দীগ্রাম পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের তালপুকুর এলাকার পিতা মাতা হারা এলিনা উচ্চ শিক্ষিত হয়েও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ বড় অসহায়। স্বামী থেকেও না থাকা, থাকেন ছোট্ট একটি সন্তান নিয়ে অন্যের বসত বাড়িতে। উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার কারনে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেও নিজের আত্মসম্মানে বাধা দেয় এলিনার, কিন্তু একটি ছেলে সন্তানের খরচ ও নিজের পেট চালাতে লজ্জা সরমের কথা চিন্তা না করে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করছে এলিনা। এলিনার এমন দু:খ দুর্দশার খবর শুনে ছুটে যান পৌর পিতা মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পৌরসভার অর্থায়নে অন্যের জমিতেই উচ্চ শিক্ষিত এলিনাকে এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনসেড ঘর করে দেন যা পেয়ে অনেক আনন্দিত এলিনা। নব-নিমির্তি এই ঘরে সন্তানকে নিয়ে উঠে আনন্দে আত্মহারা হয়ে এলিনা বলেন, উচ্চ শিক্ষিত হলেও ভাগ্যের কারনে আজ আমি বড় অসহায় বাবা মা নেই, স্বামী থেকে ও নেই সন্তানকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ কর্ম করে পেটে ভাত দিতে হয়। আমার থাকার কোন জায়গা জমি নেই মাথা গোঁজার মত কোন ঠাঁই ছিলোনা কিন্তু আমাদের মানবিক মেয়র থাকার জন্য আমাকে একটি ঘর উপহার দিয়েছে ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি, সারাদিন কাজকর্ম করে রাতে এসে নিজ বাড়িতে শান্তিতে থাকতে পারবো। (২২নভেম্বর) বুধবার বেলা ১১টায় নব-নিমির্তি টিনসেড ঘরের চাবি এলিনার হাতে হস্থান্তর করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো: আনিছুর রহমান। সেসময় উপস্থিত ছিলেন , পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ, সার্ভেয়ার সারোয়ার জাহান , প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাইদ মিলন প্রমুখ। পৌর মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, এলিনা গরিব অসহায় হলেও তিনি অত্যান্ত মেধাবী ও উচ্চ শিক্ষিত একটি মেয়ে তার থাকার মত কোন ঘর ছিলোনা। শুনেছি দীর্ঘদিন ধরে একটি ঘরের আশায় অন্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে এলিনা তবুও একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়নি এমন খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই এলিনার কাছে পৌরসভার অর্থায়নে এবং আমার নিজ তহবিল হতে সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে এলিনাকে একটি এক কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেড ঘরের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়েছে ।