কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় স্বদেশ বন্ধু সেচ্ছাসেবী সংঘের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। শিল্পপতি গোলাম মোস্তফার গ্রুপ দেশবন্ধু গ্রুপের নামের সাথে সমতা রেখে সংগঠনের নাম রাখে দেশবন্ধু সেচ্ছাসেবী সংঘ পরবর্তীতে সংগঠনের লোক এবং বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠনের নামকরণ করেন স্বদেশ বন্ধু সেচ্ছাসেবী সংঘ। এখন এই নামে সংগঠন পরিচালনা করে বিভিন্ন মহলের কাছে চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের একাধিক ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। সংগঠনটির উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক এএম ফিরোজ জানান সংগঠনটি সারাবাংলাদেশে কমিটি আছে কিন্তু নাগেশ্বরী এলাকাবাসী জানান সারাদেশে কমিটি থাকলে আমরা সংগঠনের নাম পরিবর্তন করতে বললে কি সারাদেশে নাম পরিবর্তন হবে পরে খোজ নিয়ে জানা যায় কোথায় কমিটি নেই একটা চাঁদাবাজির পায়তারা করা হয়েছে।

বিষয়গুলো বুঝতে পেরে উক্ত সংগঠনের বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, মাসিদুল ইসলাম, কেদার ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, কচাকাটা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, কালীগঞ্জ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি বিপুল রায়সহ অনেকে সংগঠন থেকে সরে দাড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ তাদের মাথা বিক্রি করে ফিরোজ আহমেদ বিভিন্ন মহলের কাছে চাঁদাবাজি করে আসছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে চাঁদাবাজির একটা উপায় খুঁজে নিয়েছে বলে জানান তারা।

মাসিদুল ইসলাম জানান দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছে আমাকে যে আপনার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড সভাপতিদের বলেন সবাই এলাকার অসহায় লোকদের আইডিকপি জেনো দেয় আমরা সেই কথা অনুযায়ী বেশকিছু অসহায় লোকদের সাথে যোগাযোগ করি এবং তাদের আইডিকপি নেই এইদিকে আহ্বায়ক ফিরোজ বার বার বলছে এত তারিখে কম্বল দিবো বার বার তারিখ পেছানোর পরে এলাকায় আমাদের মানসম্মানের ব্যাঘাত হয়েছে যাদের কে বলছি তারা এখন বলছে আপনরা কোই কিছুই দেন না তো। এদিকে ঠিকই বিভিন্ন এমপি প্রার্থী সহ বিভিন্ন মহলের কাছে গিয়ে সংগঠনের নাম বলে মোটা অঙ্কের টাকা বিভিন্ন শীতকালীন পোশাক আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

এলাকার সচেতন মহল এই ভুয়া সংগঠনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এবং যুব সমাজকে এই রকম প্রতারণা থেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেছেন।