শরীয়তপুর প্রতিনিধঃ মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ

শরীয়তপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু, এনামুল হক শামীম ও নাহিম রাজ্জাক বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিলেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ তার কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

শরীয়তপুর- ১ আসনের ইকবাল হোসেন অপু ও শরীয়তপুর-২ আসনের একেএম এনামুল হক শামীম দ্বিতীয় বারের মতো এবং
শরীয়তপুর-৩ আসনের নাহিম রাজ্জাক টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
এর মধ্যে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৮ ভোট।
এ আসনে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩৯ ভোটারের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোটার আসনটির ১৩৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪৭৮টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন।

শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০১
ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮২৭ ভোট।
এ আসনে ৩ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ ভোটাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোটার আসনটির ১৩৩টি ভোটকেন্দ্রের ৯০১টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন।

অপরদিকে, শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ,ডামুড্যা, গোসাইরহাট) আসনে নৌকা প্রতীকের নাহিম রাজ্জাক ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের আব্দুল হান্নান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১৯ ভোট।
এ আসনে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪০৪ ভোটারের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোটার আসনটির ১১০ টি ভোটকেন্দ্রের ৬৬৫ টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের তিনটি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ ছিল লাখ ৬৪ হাজার ৩০ জন।

নির্বাচনে জেলার তিনটি আসন থেকে ১২ টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। শরীয়তপুর থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্পধারা, মুক্তিজোট, তরিকত ফেডারেশন ও ইসলামি ঐক্যজোট।