মামুন আহমেদ.
ফসল রক্ষার্থে কৃষি কাজে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দিচ্ছে প্ল্যান্টডক্টর মোবাইলটিম। এ সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করছেন এই টিমের সদস্যগণ। উপজেলার বিভিন্ন পথে-প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে মাইকিং করে জানান দিচ্ছেন আবহাওয়ার পূর্বাভাষ। তেঘরী গ্রামের কৃষক মোঃ সারোয়ার হোসেন জানান, এই আবহাওয়ার সংবাদ পাইয়া আমার খুব ভালো হইলো। আমি আমার আলুর জমিতে সেচ দিতে চাইছিলাম। এখন আমি একটু বৃষ্টিপাত দেইখ্যা সিদ্ধান্তনিতে পারবো। সিংজানী গ্রামের কৃষক মোঃ মোকছেদ আলী জানান, আমি আজকেই মরিচের জমিতে ঔষধ দিতে চাইছিলাম। এই পূর্বাভাষ পাইয়া আমি দুই দিন পরে দিমু। প্ল্যান্টডক্টর মোবাইলটিমের পরিচালক উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আদনান বাবু জানান, নন্দীগ্রামের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সচেতন করতে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ জানান দিচ্ছি। আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হচ্ছে আগামী ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী দেশের ৩৭ টি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ৩৭ টি জেলার মধ্যে বগুড়া জেলা অন্যতম। এ ধরনের বৃষ্টিপাত ফসলচাষ এবং মাঠে দন্ডায়মান ফসলের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। বৃষ্টিপাতের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা কৃষকদের বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছি। এই সময়ে সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিপক্ক সবজি, আলু, মসুর, সরিষা ও উদ্যান তাত্তিক ফসল দ্রুত সংগ্রহ করে শুকনো ও নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। বোরো ধান ও গমে বাস্ট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দিলে অনুমোদিত বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে। চীনা বাদাম, গম, ভুট্টা, সরিষা, মসুর, সবজি ও আলুর জমিতে যেন পানি না জমে থাকতে পারে সেজন্য নিষ্কাশন নালা পরিস্কার রাখতে হবে। বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে রাখতে হবে। দন্ডায়মান কলাগাছ, আখ ও উদ্যানতাত্তিক ফসলের জন্য খুঁটির ব্যবস্থা রাখতে হবে।