ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ শহরের আল হামরা আবাসিক হোটেল থেকে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৩জন সদস্যসহ চোরাই সরঞ্জাম আটক। গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেঅপর দলভূক্ত চোর সদস্যসহ আলামত উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ।
শুক্রবার (৫ই এপ্রিল ২০২৪) সকাল ১১:৩০ মিনিটের সময় সিরাজগঞ্জ সদর থানা কর্তৃক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৮:১০ মিনিটে সময় এসআই (নিরস্ত্র) মনিরুল ইসলাম ডিউটি করা কালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, আল হামরা আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে অন্য জেলা থেকে কয়েক জন চোর চক্রের সদস্যরা শহরের বিভিন্ন বাসায় ও দোকানে চুরি করার জন্য দল ভক্ত ভাবে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে । অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম অতিরিক্ত ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০১ নং কক্ষ হইতে আসামি ১। মোঃ জাকির হোসেন (৫২), ২। মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৪০),৩। মোহাম্মদ রফিক বেপারী (৩৭) এদেরকে গ্রেফতার করেন। যাদের প্রত্যেকের বাড়ি মাদারীপুর জেলায় । তাদের নিবিড় জিজ্ঞাসা বাদে জানা যায় যে সিরাজগঞ্জ শহরের সুবিধা জনক বাসা বাড়ি ও দোকান থেকে চুরি করার জন্য দলভুক্ত হয়ে অবস্থান করছিল। আসামিরা বলেন তাদেরকে যেন কেহ সন্দেহ না করে তার জন্য অপেক্ষাকৃত অনুন্নতমানের হোটেলে অবস্থান করে এবং চুরি কার্য শেষ হবার পরে তাদের দলভুক্ত ৪। সাধন কুমার বিশ্বাস (৪৫),২। আতিয়ার রহমানর ৩। রফিক বেপারী দের ৪। সাধন কুমার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা বাদ করা হলে তারা জানায় ৪। সাধন কুমার বিশ্বাস তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে একটি টিম গঠন করে আসামিদের গ্রেফতার করে। সাধন কুমার বিশ্বাস উপস্থাপন মতে ৫ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেচেন, দুই আনা ছয় পয়েন্ট ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, ১। মোহাম্মদ জাকির হোসেন (৫২) পিতা: শাহজাহান আলী মাতা মোছাঃ মমতাজ ২। মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান(৪০), পিতা মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার, মোছাঃ মালঞ্চ বিবি, উভয়ের গ্রাম: পুনিয়া বনগ্রাম
৩। মোহাম্মদ রফিক বেপারী(৩৭), পিতা মৃত ইউসুফ ব্যাপারী, মাতা মৃত তারা বেগম, গ্রাম: ভারুয়াপাড়া, ইউনিয়ন: কুনিয়া, থানা ও জেলা : মাদারীপুর,
৪। সাধন কুমার বিশ্বাস(৪৫),পিতা: মনোরঞ্জন বিশ্বাস,মাতা: মৃত আরতী রানী গ্রাম: বিত্তিরাণী নগর ঘোষপাড়া, থানা: শৈলকুপা, জেলা: ঝিনাইদহ
উদ্ধারকৃত আলামত, ১। বিভিন্ন ধরনের একটি চাবির ঝুপা যাতে ছোট-বড় ২১ চাবি।
২। দুইটি হাতুড়ি
৩। একটা সেলাই রেঞ্জ
৪। এসিড
৫। বাঁকানো লোহার রড
৬। স্বর্ণ ওজন করার ডিজিটাল মেশিন
৭। তালা ভাঙ্গার একটি চাইনিজ কাটার
৮। ৫ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেচেন, দুই আনা ছয় পয়েন্ট ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল
আসামিরা আন্ত জেলা , চোর চক্রের সক্রিয় দলভুক্ত সদস্য এবং চোরাই মাল তাদেরই অনুসারী লোকদের নিকট বিক্রি করে থাকে। তারা সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় চুরি ও দর্শ্যতার মত অপরাধ করে থাকে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়াধীন।