রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর পাংশায় মো. আরিফুল ইসলাম পিন্টুর নামের এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে যখমের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা বাজারের মস্তফা ও মিন্টু মৃধার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আবু বক্কর সিদ্দিক পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তিনি উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের আনসার আলী প্রামানিকের ছেলে। অভিযু্ক্ত মো. আরিফুল ইসলাম পিন্টুর উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন ইউপি সদস্য।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় আহত আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মাছপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম পিল্টুর নেতৃত্বে ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের মফিজ মৃধার ছেলে কল্লোল মৃধা, আজিজ প্রামানিকের ছেলে সুরুজ প্রামানিক অরফে ওকে, আলিম শেখের ছেলে জাহিদুল ইসলাম সহ ১০-১২ জন লোহার রড, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও পিটিয়ে যখম করে পালিয়ে যায়।
কেন হামলা করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার চাচাত ভাই মোহাসিন উদ্দিন পিন্টু মেম্বারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তখন পিন্টুর নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। সে ঘটনায় আমরা একটি মামলা করি। পরে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সে মামলার নিষ্পত্তি হয়। সেই টাকা দেওয়ার পর থেকে পিল্টু মেম্বার টাকা ফেরত চেয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো।
মেঘনা বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা জানান, আমার দোকারেন সামনে বক্করকে মারটিপ করা হয়েছে। আমি তখন দোকানের ভিতরে ছিলাম। আমি দোকান থেকে বেরিয়ে আসার আগেই সবাই পালিয়ে গেছে। কে বা করা মেরেছে আমি কাউকে দেখতে পাইনি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম পিন্টু বলেন, মারামারির সময় আমি বাজারে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, তা সম্পুর্ণ মিথ্যা।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়ীক্তে থাকা চিকিৎসক ডা. সোজা উদ্দিন সোহাগ জানান, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। নাক, মুখ সহ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতর চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স পাআহতের খোঁজ খবর নিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।