মোঃ ইসমাঈল হোসেন, বগুড়া সদর প্রতিনিধিঃ

ঈদের রাতে বগুড়া শহরে দুই যুবককে হত্যার ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিহত শরিফের মা হেনা বেগম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অন্তত ১৫ জনকে আসামি রেখে মামলাটি করেছেন।

মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ তিনজনকে এবং র‌্যাব একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- শহরের বাসিন্দা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু, সদর উপজেলার সুলতানগঞ্জ পাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আজবিন রিফাত (১৯), নিশিন্দারা খাঁপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে শেখ সৌরভ (২২) এবং নিশিন্দারা পূর্বপাড়ার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাঈম হোসেন (২৮)। তারা সবাই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

এ ছাড়া মিঠুর আপন ছোট ভাই জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমুকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

ঈদের দিন রাত দেড়টার দিকে শহরের নিশিন্দারা চকর পাড়া এলাকায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তারা হলেন- দুদু মিয়ার ছেলে শরীফ (২৪) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে রোমান (২৩)। তারা ওই এলাকারই বাসিন্দা।এ ছাড়া তাদের বন্ধু হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঈদের দিন বিকালে নামাজগড় থেকে হাকিরমোড়গামী নির্মাণাধীন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রোমানের মোটরসাইকেল সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপুর গাড়িতে ধাক্কা লাগে। ওই গাড়িতে টিপুর মেয়ে ছিলেন।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে আসামিরা রাত ১২টায় শরিফ শেখ, রোমান, হোসাইনকে চকরপাড়ার জাহিদ মিয়ার ইউক্যালিপটাস বাগানে মীমাংসার কথা বলে ডেকে নেয়। তারপর হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
পরিদর্শক শাহীনুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার বিভিন্ন স্থান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্যালয়ে ডাকা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।