রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে বিএনপির একাংশের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) বিকেলে রাজবাড়ী রেলগেইট শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক চত্তরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশকে ঘিরে ট্রাক দিয়ে বানানো হয় মঞ্চ। বেলা তিনটা থেকেই দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করে। এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই সমাবেশ স্থলে জন জনসমাবেশে রূপান্তিত হয়। সমাবেশে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য দেন রাজবাড়ী এক আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম।
এসময় আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, সতের বছর পর আজ আমরা রাজবাড়ীর বুকে প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিয়ে সমাবেশ করছি। সতের বছর আমাদের কোন নেতাকর্মীকে রাস্তায় নামতে দেয়নি সৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার। আল্লাহর বিচারের আজ তাদের পতন হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের মুখে সৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল কোন আওয়ামী লীগের নেতাকে মারধর করা হয়েছে এমন কোন নজির তারা দেখাতে পারবেন না। কিন্তু এই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতের বছরে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে মেরে ফেলেছে। রাজবাড়ীর অনেক নেতাকর্মীকে মারধর করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজবাড়ী খলিপাপট্টিতে আমার নির্বাচনি জনসভায় আমার উপর হামলা করা হয়। এই শহরে আমার জন্ম। এই শহরে আমার বেড়ে ওঠা। অথচ আমার উপরে হামলা করা হয়। এই সতের বছরে আমার জেলার সকল নেতাকর্মীদের নামে শত শত মামলা করা হয়েছে। আমার নামে বিষ্ফোরক মামলা করা হয়েছে। জেলার শতশত নেতাকর্মীরা জেল খেঠেছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন কোটা বাতিলের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলনে নামে তখন পুলিশ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালায়। বুক চিতিয়ে দেওয়া আবু সাঈদের বুকে গুলি চালাতে পুলিশের হাত কাপেঁনি। আজ কেয়ারটেকার সরকার দায়িত্ব নেবেন। আমি তাদেরকে বলতে চাই এই আন্দোলনে যে সকল শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। যারা পুলিশে আছেন আপনার রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ না করে জনগণের জন্য কাজ করেন। রাজবাড়ী বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির কোন নেতাকর্মী যদি কারও জমি দখল করতে যায়, কারও বাড়িতে হামলা করতে যায় তাদেরকে ধরে আমাদেরকে খবর দেবেনে। বর্তমান পরিস্থিতে বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে সংখ্যালঘুসহ কোন মানুষের বাড়ি যেন ভাঙচুর করা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নঈম আনছারি। এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম দুলাল, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রইচউদ্দিন, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি গাজী আহসান হাবীব, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক এমএ মজিদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।