বি এম আলামিন, কয়রা খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের জায়গীর মহল গ্রামে কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জব্বার আলী’র দোকানঘরে লুটপাট ও ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

জব্বার আলী দীর্ঘ চল্লিশ বছর পূর্বে কাঠের তৈরি দোকান করে ব্যবসা করে আসছিলেন, পরবর্তীতে তার ছেলে মোফাজ্জল পনের বছর পূর্বে কাঠের ঘরটি ভেঙে সেমি পাকা দোকান করে ব্যবসা করে আসছিল।

স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা জানান জব্বার আলী যখন এখানে দোকান করতেন তখন আশে পাশে কোন ঘর বাড়ি বসবাস হয় নাই। প্রায় ২৫ বছর পরে এসে উক্ত দোকানের পিছনে আবুতালেব ও সিদ্দিক সরদার নামের ব্যক্তিরা বসত ঘর তৈরি করেন এবং বাকি ৪৪ শতক খাস জায়গা আবুতালেব ও সিদ্দিক ভোগ দখল করছেন। পরবর্তীতে হটাৎ তারা লোভের বসীভূত হয়ে গুন্ডা পান্ডা নিয়া সরকার পতনের পরে ১৭ আগষ্ট রাতে মোফাজ্জেলের দোকানটি লুটপাট করে ভেঙে ফেলে রেখে যায়।

সরেজমিন তদন্তে কয়রা উপজেলা সার্ভেয়ার মো. হাদিছুর রহমানের প্রতিবেদনে দেখা যায় জমিটি এখন বিআরএস জরিপে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, খুলনার নামে রাস্তা শ্রেণির জায়গা মধ্যে,জায়গাটির ভিতরে মোট ৪৫ শতক সরকারি খাস জায়গা বিদ্যামান আছে, তাহার ভিতর এক শতক খাস জায়গায় এই সেমি পাকা দোকান অবস্থিত।

এই বিষয়ে জায়গীর মহল গ্রামের বাসিন্দা,শহিদুল মোড়ল ও মোন্তাজ সরদার বলেন,রাতের আধারে বকুল আশরাফ,মনি,খোকন,মারুফ রফিকুল ও তাদের সঙ্গী সাথীরা এসে মালামাল লুটপাট সহ দোকান ভেঙে দেন আমরা সে কাজে বাঁধা দিলে আমাদের ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়।উল্লেখ্য যে তারা এই লুটপাটের সাথে জড়িত হয়েও উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলা চলমান অবস্থায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী দিয়ে ভাঙ্গা দোকান ঘরটি নিশ্চিহ করার লক্ষ্যে আবারও ভাঙচুর ও দখলের চেষ্টা করেন।কয়রা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোফাজ্জেলের দোকান ঘর বাঁধবার নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে।এসময় কয়রা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি শান্তি রক্ষার্থে দোকান ঘরে ১৪৪ ধারার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। বিষয় টি কার্যকর হলে কিছুদিন শান্ত থাকার পরে ৪ অক্টোবর আবার সম্পূর্ণ রুপে দোকান ঘরটি ভেঙ্গে দোকানের গাথুনীর ইট খুলে নিয়ে যায় আবুতালেবের ওয়ারেশগণ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা চলমান অবস্থায় দোকান ঘর ভাঙচুর করলে তাৎক্ষনিক আইনগত সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে কয়রা থানাতে মুঠো ফোনে মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে মোফাজ্জল সরদার।

এ বিষয়ে কয়রা থানার ওসি (তদন্ত) শাহা আলম বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকা অবস্থায় দোকান ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়েছি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এবং অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।