রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ী জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: হারুন-অর-রশীদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল আলম।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম শিকদার পিন্টু, পৌর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেদ পাভেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।
এ সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল  মালেক, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্যারিস হোসেন সহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেতাকর্মীরা জানান, গত ২২শে জানুয়ারি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সোনাপুর মোড়স্থ বিএনপি’র কার্যালয়ে তৃণমুল নেতাকর্মীদের একতাবন্ধ থাকার জন্য বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশীদের ওই দিনের একটি বক্ত্যেবের খন্ডিত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে যে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও রাজবাড়ীবাসীকে এধরনের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে পোর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, ‘রাজবাড়ীতে আসলাম-হারুন গ্রুপের একটা লোকও কোন প্রকার চাঁদাবাজি করে না। রাজবাড়ীতে যত অবৈধ চাঁদাবাজি হচ্ছে, সব চাঁদাবাজি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম করাচ্ছে। আপনারা প্রমাণ চান।ধাওয়াপাড়া ঘাটে মালেকের দিয়ে বালু কেনাবেচা করাচ্ছে। টেন্ডারবাজি করাচ্ছে মুছা। গতকাল (বুধবার) রাজবাড়ী পৌরসভার চরলক্ষীপুর গ্রামে আহম্মদ আলী মৃধা কলেজ মাঠে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৭ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। সেই কর্মীসভায় বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। সেই সময় আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের প্রতক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশনায়, সাবেক কাউন্সিলর আফসার আলী সরদারের ছেলে আসাদ, কাউছার, মানিক, হান্নান সরদার, লতিফ সালাম সিকদারসহ কয়েকজন সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।