আহসান হাবীব নাহিদ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ইশতিয়াক আহমেদ সোহান ও ছাত্রদল কে জরিয়ে ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ই মার্চ রবিবার সাদুল্লাপুর আবু হোসেন সুপার মার্কেট সংলগ্ন উপজেলা বিএনপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ, যুগ্ম-আহবায়ক ইবনে সিন, সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক নুর আলম প্রমূখ সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ইশতিয়াক আহমেদ সোহান বলেন।
গত ৪ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার “দ্যা ডেইলী ক্যাম্পাস” সহ আরো কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ” ফিল্মিই স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে মিথ্যা ও সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটিতে আমি মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ সোহানকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়। এহেন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমুলক সংবাদ প্রকাশে উপজেলা ছাত্রদলের মান ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃত পক্ষে ঘটনার সময় আমি সাদুল্লাপুর উপজেলাধীন ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাব্বি মিয়াসহ উপজেলা এলজিইডি অফিসে বিশেষ কাজে অবস্থান করছিলাম। বাহিরে চিৎকার চেচামেচি শুনে প্রকৃত ঘটনা দেখতে ঘটনাস্থলে যাই জানতে পারি কাউকে তুলে নিয়েছে ততক্ষনে ঘটনার সাথে জড়িত কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এই ঘটনার সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যা ঐ ঘটনায় আহত শহিদুল মাষ্টারের নিজ মুখের স্বীকারোক্তিতে প্রমানিত। আহত শহিদুল মাষ্টার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহনকালীন নিজ মুখে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ঐ ঘটনায় আমার উপস্থিতি বা সংশ্লিষ্টতা ছিলনা।
একটি কুচক্রি মহল আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি আমার জ্যাঠাতো বোন লিথি খাতুনের সাথে শহিদুল মাষ্টারের ছেলে জিওন সরকারের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তানও আছে। গত চার বছর থেকে জিওন সরকার ২য় বিয়ে করে মিঠাপুকুরে অবস্থান করে আসছে এবং এই চার বছরে লিথি খাতুনের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ নাই। গত চারমাস আগে শহিদুল মাষ্টারসহ তার পরিবারের লোকজন লিথি খাতুনকে মারধর করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনার জের ধরেই ৪ তারিখের ঘটনাটি ঘটে। এই শহিদুল মাষ্টারের নামে তিনটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিশেষত যে শহিদুল মাষ্টার ও তার লোকজন গত ২০১৩সালে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিনকে হাত, পা, কেটে জবাই করে হত্যা করে। এই ঘটনার সাক্ষী মো: তাহাদুল ইসলামকে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামীলীগের প্রভাব দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। হয়তবা আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই উক্ত মামলার রায় হবে। এই শহিদুল মাষ্টার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং স্বৈরাচারের দোসর। ১৭ বছরে শহিদুল মাষ্টার ও তার ভাই আশরাফুল মিলে ভাতগ্রাম ও ফরিদপুর ইউনিয়নের বৃহত অংশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।