মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :
রাজবাড়ীতে জেলা উদীচীর কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৩মে) দিবাগত রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উদীচীর নেতৃবৃন্দরা।
জানা গেছে, শহরের আজাদী ময়দান সংলগ্ন জেলা উদীচীর কার্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যেই পুলিশ সুপারের বাসভবন। প্রতিদিনের মত শুক্রবারও উদীচীর কার্যালয়ে বসেন নেতাকর্মী ও শিল্পীরা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কার্যালয়ে তালা দিয়ে তারা চলে যান। সকাল ৯টার দিকে কার্যালয়ের দরজা ভাঙার খবর পেয়ে নেতাকর্মীরা উদীচীতে আসেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উদীচী কার্যালয়ের অডিটোরিয়াম ও অফিসকক্ষের দরজার তালা লাগানোর আংটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। অডিটোরিয়ামের মধ্যে একটি স্টিলের আলমারি খোলা রয়েছে। সেখানো আলমারির ড্রয়ারের তাকগুলোর কাগজপত্রগুলো এলোমেলোভাবে পরে আছে। একটি দরজার তালা ভঙ্গুর অবস্থায় দরজার নিচেই পরে আছে।
রাজবাড়ী জেলা উদীচীর সহ-সভাপতি আজিজুল হাসান খোকা বলেন, প্রায় প্রতিদিনই আমি উদীচীতে আসি। গতকালও (শুক্রবার) আমি এসেছিলাম। তখন উদীচীর অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে আমরা সবাই উদীচী তালা দিয়ে চলে যাই । সকাল নয়টার দিকে উদীচীর তালা ভাঙা রয়েছে বলে আমার কাছে খবর আসে। পরে আমি দ্রুত এসে দেখি দুটি দরজার তালা লাগানোর আংটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভেতরের আলমারি খোলা রয়েছে। সেখানে কাগজপত্রগুলো এলোমেলোভাবে রয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা বলতে পারবো না ।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা লেখক পাঠক কেন্দ্রের সভাপতি কবি নেহাল আহমেদ। তিনি বলেন, উদীচী দেশের মধ্যে একুশে পদক প্রাপ্ত একটি সনামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন। এই সংগঠন সবসময় মানুষের জন্য কাজ করে। কে বা কারা উদীচীর তালা ভেঙে সংগঠনের কার্যালয়ের ক্ষতি করার চেষ্টা করার চেষ্টা করছে। তাদেরকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, উদীচী কার্যালয় ভাঙচুর করার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।