ডেস্ক রিপোর্ট –ঃ

বরিশালের সদর উপজেলার দিনারের মোতালেবের পুত্র ও স্থানীয় সন্ত্রাসী,একাধিক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী রুবেল এখন বরিশালের আদালত প্রাঙ্গণে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী।অভিযোগ রয়েছে ফৌজদারি অপরাধমূলক মামলার তথ্য গোপন করে চাকুরী করছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বহু অভিযোগ ও একাধিক গুরুতর অপরাধমূলক মামলা।

যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের পরিচ্ছন্ন কর্মী বরিশাল সদর উপজেলার দিনার নামক স্থানের মোতালেবের পুত্র রুবেল হাওলাদার। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তিনি একজন চিন্হিত স্থানীয় মাস্তান। তার বিরুদ্ধে রয়েছে জমি দখল,মারপিট,মানুষকে খুন জখমের হুমকি দেয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ ও একাধিক মামলা। এরমধ্যে কয়েকটি মামলাতে হয়েছে চার্জশিট। তবুও জেল খাটতে হয়নি রুবেল হাওলাদারকে।

সূত্রমতে,গত বছরের ১ নভেম্বর রুবেল হাওলাদার বরিশাল যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে মাস্টাররোলে চাকুরীতে যোগদান করেছেন।যোগদানের আগেই তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দুইটি মামলা। এবং দুটিতেই হয়ে গেছে চার্জশিট। চার্জশিটভুক্ত আসামী ও ফৌজদারি অপরাধী হলেও রুবেল তথ্য গোপন করে চাকুরীতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের বাসিন্দা ও মামলার বাদি আব্দুল হান্নান।

দিনারের বাসিন্দা ও মামলার বাদি হান্নান,আলেয়ার অভিযোগ ও মামলার এজাহার সূত্রমতে জানা যায়, ২০১৯ সালে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা নম্বর ১৫০ এর বাদি আলেয়া বেগম। তিনি ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর রুলেবের দ্বারা হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রুবেল তার সন্ত্রাসী বাহিনীসহ মানুষকে গালিগালাজ ও মারধর করেন।এতে তৎকালীন সময়ে হান্নান গুরুতর জখমের পর হাসপাতালে ভর্তি থেকে মামলা করেন।মামলাটিতে এসআই মশিউর চার্জশিটভুক্ত আসামী হিসেবে রুবেলকে চিন্হিত করেন।ধারা ৩২৩,৩২৪,৩০৭,৩৫৪,৫০৬(২)।

এছাড়াও আরেকটি মামলা ২০২১ সালে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা নম্বর ৬৩। এই মামলার বাদি আব্দুল হান্নান। তিনি মামলাতে এজাহারে উল্লেখ করেন অভিযুক্ত রুবেল চাঁদাবাজ।তিনি চাঁদা নানপেয়ে ২০২১ সালের ২২ আগষ্ট বাদিকে মারধর করেছেন।মামলাটির তদন্ত চলমান।এতে ধারা দেয়া হয়েছে ১৪৩,৩২৩,৩৭৯,৩৮৫,৩৮৭,৫০৬(২),১০৯ ।

আরেকটি মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদি মজিরন নেছা।তাকেও রুবেল শ্লীলতাহানি, খুনের উদ্দ্যেশ্যে কুপিয়ে যখম,তার ঘরে চুরি করেছেন অভিযুক্ত রুবেল।থানায় ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ দায়ের করা মামলাটির চার্জশিটভুক্ত আসামী সন্ত্রাসী রুবেল।বন্দর থানার এসআই আনিসুর রহমান ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

স্থানীয়দের দাবী,রুবেল আদালতে চাকরীর পর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে আদালতের চাকুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে আরও বেশী।

অভিযুক্ত রুবেল বলেন ‘ আমি মামলার আসামী সত্য।আমার মামলার কথা জানিয়েই চাকরীতে যোগ দিয়েছি। ‘