শোয়েব হোসেন –ঃ

রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন রাস্তার বেহাল দশা। সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায়,দক্ষিণখান গাওয়াইর পানির পাম্প থেকে হাজী বিল্লাত আলী উচ্চবিদ্যালয় রোড হয়ে তুরাগ ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত রাস্তার অত্যন্ত নাজুক অবস্থা,তার ওপর আবার রাস্তার মাঝে খানাখন্দ। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। জানা যায়,হাজী বিল্লাত আলি বিদ্যালয় থেকে তুরাগ সিএনজি পাম্প মোড় পর্যন্ত রাস্তাার অবস্থা এতোটাই নাজুক যে প্রতিদিনই এলাকাবাসী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান,তারা ৪৭ নং ওয়ার্ডবাসী ,আর এ ওয়ার্ডের রাস্তার সমস্যা বহুবারই এলাকার ৪৭ নং কাউনন্সিলর মোতালেব সাহেবকে জানানো হলেও তিনি কখনোই গুরুত্ব দেননি। এদিকে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে হাজী বিল্লাত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র দেখা যায়,এদিকে গত বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টির পানিতে রাস্তাটি ডুবে যায় এবং চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তায় হাটু সমান পানি হওয়ার পরও পানি পার হয়ে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এমনকি এই রাস্তাটির এমন বেহালদশা যে অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবহন উল্টে যাওয়ার মত দৃশ্যও চোখে পড়ে। শনিবারও ঠিক সাড়ে ১০ টার সময় পরীক্ষার্থীরা উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে একটি অটোরিকশায় থাকা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেসহ অটোরিকশা উল্টে পড়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে ্এবং ঐ পরীক্ষার্থীর পরনের পোষাক ময়লা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সাংবাদিকদের জানান, রাস্তা এই অবস্থা তা কেনো এই বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের সিট দেওয়া হলো? যারা পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারন করেছেন তারা কি রাস্তা পরিদর্শন করেননি ? তারা আরো বলেন এভাবে আর আমরা কতকষ্ট সহ্য করবো ? এ বিষয়ে হাজী বিল্লাত আলী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শেখ মোহাম্মদের সাথে পরীক্ষা ও রাস্তা সম্পর্কে সাংবাদিকরা সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সময় দেন নি। এদিকে শনিবার হাজী বিল্লাত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় রোডে গেলে দেখা যায় সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা পরিস্কার করছে এবং তাদের সাঙ্গে কথা বলে জানা যায়,তারা যতই ময়লা পরিস্কার করা হোক না কেনো আবার ভারী বৃষ্টি হলে হাটু সমান পানি জলাবদ্ধতা হয়ে যাবে তাতে কোনই সুফল হবে না।কারন,পানি বাহির হওয়ার জন্য তো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই,পানি নেমে কোথায় যাবে? এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান,আপনারা হাজারও ছবি তোলেন বা সংবাদ প্রকাশ করেন কোন লাভই হবে না। এদিকে ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব সাহেবকে মোবাইলে কল দিলে তিনি অসুস্থ এবং ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
৪৭ নং ওয়ার্ড বাসীর জোরালো একটাই দাবি আমরা একটা ভালো রাস্তা চাই।