বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

চল্লিশ দিন বয়সী একটি বকনা বাছুর গত ১৫ দিন থেকে আধা লিটার করে দুধ দিচ্ছে! সবাই শুনে অবাক হলেও ঘটনাটি সত্য।গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের কিশামত সর্বানন্দ গ্রামের আফছার আলী নামে এক খামারীর বকনা বাছুরের এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। এই সংবাদ শুনে প্রতিদিন গরুর মালিকের বাড়িতে উৎসুক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।

চল্লিশ দিন বয়সের কালো রঙয়ের ওই বকনা গরুটির মালিক আফছার আলী (৬৫)। তিনি উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের কিশামত সর্বানন্দ গ্রামের একজন খামারী।

রবিবার দুপুরে খামারী আফছার আলীর বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে,আশপাশের গ্রাম থেকে উৎসুক ২০-২৫ জন ওই বাড়িতে ভিড় করছেন। এ সময় ওই কৃষক দুধ (দোহন) সংগ্রহ করছিলেন।

খামারী আফছার আলী জানান, কম বয়সী বাছুর দেখে তিনি প্রতিদিন একবেলা করে দুধ সংগ্রহ করেন।আর এক বেলা দুধ সংগ্রহ না করলে এই বাছুর গরুটির ওলান ফুলে শক্ত হয়ে যায়। তিনি গত ১৫ দিন ধরে এভাবে দুধ সংগ্রহ করছেন।

খামারী আফছার আলী জানান, তিনি একজন গরিব চাষী। জমি চাষাবাদ ও গরুর খামারে গরু লালন -পালন করে সংসার চালান। পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও তিন ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে।

গত মাসের ২৫তারিখে সকালে আফছার আলী
বকনা বাছুরটির কাছে গিয়ে দেখতে পান বাছুরে ওলান ফোলা তখনি তিনি ধারণা করেন এর ওলানে দুধ জমছে।এছাড়াও তিনি স্থানীয় ডাক্তার কে নিয়ে আসলে তার পরামর্শ শুনে বিষয়টি নিশ্চিত হন।

তিনি তাৎক্ষণিক গরুটির ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করেন। প্রথম দুই দিন এক পোয়া দুধ পান তিনি। এখন আধা লিটার, কখনো তিন পোয়া দুধ সংগ্রহ করেন। বিষয়টি শুনে আশ্চর্য হয়ে প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ তা দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করেন।

বাছুর দেখতে আসা সোহান মিয়া বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই গরু লালন পালন করি। কখনো এ রকম বাছুর ছাড়া দুধ দিতে দেখিনি। শুনে তাই দেখতে এসেছি। ঘটনার সত্যতাও পেয়েছি।এটা আসলে একটা অলৌকিক ঘটনা।আমার মত অনেকেই বিষয়টি শুনে আশ্চর্য হয়েছেন। তাই প্রতিবেশীরা এ দৃশ্য দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, হরমোনের কারণে এমনটা হতে পারে। হরমোন যদি বেড়ে যায় তাহলে এরকম বকনা গরু থেকে দুধ আসতে পারে। এটা নিয়ে কৌতূহলের কিছু নেই। যদি এই দুধ স্বাস্থ্যসম্মত হয় তাহলে এটা যে কেউ খেতে পারেন।