তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি – ঃ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ফাকরাবাদ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কুপিয়ে স্ব-স্ত্রীক আহত হওযার গটনা ঘটেছে। ২৪ মার্চ শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের ধারালো দা’য়ের আঘাতে ফাকরাবাদ গ্রামের মৃত আ:খালেকের ছেলে আব্দুর রহিম ও তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন মারাক্তক ভাবে আহত হয়ে বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ীর সীমানাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী মুসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলামের সাথে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন, তারিখ ও সময়ে আব্দুর রহিম একটি কাঠের বাগান ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠলে বিবাদী সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ এক পর্যায়ে আকস্মিক ভাবে রহিমের উপর দারালো দা’দিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্বক ভাবে আহত করে। রহিমকে বাঁচাতে তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে। এসময় তারা উভয়েই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সুযোগে রহিমের পকেটে থাকা ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় সিরাজুল গংরা। পরে প্রতিবেশীরা রহিম ও তার স্ত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে উভয় রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়াই তাদেরকে ২৪ মার্চ শুক্রবার রাতেই শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। পরবর্তীতে আহত রহিমের ছেলে আসাদুজ্জামান আশিক বাদী হয়ে ৪ ব্যক্তির নামে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এসআই তোফাজ্জল হোসেনকে দ্বায়িত্ব প্রদান করেন। ঝিনাইগাতী থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।