মো:আল-আমীন হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ

স্কুল কলেজ বা প্রাইভেটে যাওয়ার নাম করে কি করছে সন্তানরা তা জানেননা বাবা মা। জানা নেই শিক্ষকদেরও। ঘাটাইলের বিভিন্ন স্থানে বেঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুড। আর এসব অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের ভোক্তা হচ্ছে উঠতি বয়সী স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে। চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।

ঘাটাইল পৌর এলাকার বাজার রোডে অবস্থিত ফুড ভিলেইজ, ওনিয়ন ও ফুড পার্ক। সরেজমিনে দেখা যায়, কেবিনগুলিতে জোড়ায় জোড়ায় বসে আছে প্রেমিক প্রেমিকা। তারা সকলেই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের বয়স ১৪থেকে ১৮ বছর। চলছে অন্তরঙ্গ ডেটিং ও দৃষ্টিকটু কার্যকলাপ। শুধু ফুড ভিলেইজ বা ফুড পার্ক নয়, এমন চিত্র টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার অধিকাংশ রেস্টুরেন্টগুলির।

এসকল রেস্টুরেন্টে ডেটিংয়ে আসা একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। তারা জানান, নিরাপদে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতেই রেস্টুরেন্ট গুলোতে আসেন তারা। বেশি সময় অতিবাহিত করলে দিতে হয় ওয়েটিং বিল।

স্থানীয়রা জানান, অসামাজিক কাজের চাহিদা বেশি থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে গড়ে ওঠছে মৃদু আলো ও ছোট ছোট কেবিন সম্বলিত অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। পরিবার পরিজনদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কোনপ্রকার পরিবেশ নেই। মিনি চাইনিজ এবং ফাস্টফুড দোকানের আড়ালে দেদারছে চলছে অন্তরঙ্গ ডেটিং ও দৃষ্টিকটু কার্যকলাপ। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নীরবতা ও অভিযান না থাকার কারণে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে ঘাটাইল পৌর এলাকার পশ্চিম পাড়া অবস্থিত শাপলা শিশু পার্ক। এটি নামে শিশু পার্ক হলেও সেখানে যাওয়ার পরিবেশ নেই শিশুদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল ফাঁকি দিয়ে বসে আছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। রেস্টুরেন্টগুলোর মতো এখানেও তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাতেই এসেছে।

এসকল বিষয়ে ঘাটাইল ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানান, এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে রেস্টুরেন্টগুলোতে কয়েকবার মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার পর দুই দিন এক দিন বিরত থাকলেও আবার শুরু হয় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, আমরা অভিভাবকদের সচেতনের ব্যাবস্থা করতেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক সহ সকলকে এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। শুধু থানা প্রশাসনের একার পক্ষে নজরদারি করলে এটা সমাধান হবেনা।