রাজবাড়ী জেলা ঃ
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা রতনদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি চাঁদাবাজীর মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজবাড়ীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত বুধবার বিকেলে এই আদেশ দেন।
যুবলীগের নেতার নাম খলিল ফকীর (৪০)। তাঁর বাড়ি রতনদিয়া ইউনিয়ন কালুখালী উপজেলার লস্করদিয়া গ্রামে। খলিলের বাবার নাম জলিল ফকীর।
রুবি আক্তার নামে এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তাঁর বাড়ি কালুখালী উপজেলার মাধবদিয়া গ্রামে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর স্বামী প্রবাসী। শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের স্বজনের সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি চলে আসেন। বাদীর বাড়িতে খলিল প্রায়ই যাতায়াত করতো। তাদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। বাদী তাঁর চাচা আফজালের বাড়ি থাকা অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য খলিল ফকীরকে অনুরোধ করে। খলিল থানার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের বিষয়ে আশ্বাস দেয়। ৮ জুলাই হিরু মোল্লার ঘাট এলাকায় বাদীর সঙ্গে খলিলের দেখা হয়। খলিল জানায়, শ্বশুরবাড়িতে তুলে দেওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা দিতে হবে। কিন্তু নগদ টাকা না থাকায় পরে দেখা করবে বলে জানায়। এরপর বাদীর ফোনে কল দিয়ে খলিল একাধিকবার দুই লাখ টাকার বিষয়ে তাগাদা দেয়। বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে করে খলিল তাকে নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এঘটনায় মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামী খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে তাকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
রাজবাড়ী আদালতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মমিনুল ইসলাম বলেন, বিকেলে খলিল ফকীরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। পরে তাকে পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়ে ছিল। কিন্তু আদালতের বিচারক রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।