রাজবাড়ী জেলাঃ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় এক নারীকে গণধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, পাংশা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের ওমর আলী প্রামাণিকের ছেলে রঞ্জু প্রামাণিক, আনসার দাইয়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম, জসিম সরদারের ছেলে মাসুদ ওরফে মাসুদ রানা, গহর প্রামানিকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন প্রামানিক, ছেকেন সরদারের ছেলে হযরত আলী সরদার ওরফে আজো, জিয়েলগাই গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে আশরাফ উদ্দিন ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আমলাপাড়া চরের গুলাই প্রামানিকের স্ত্রী মোছা. জয়গুন। এদের মধ্যে রঞ্জু ও আশরাফ পলাতক রয়েছে।
আদালত ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিহতের নাম আমেনা খাতুন নামে এক নারীর মরদেহ ২০০৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার সময় পাংশা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের একটি ধান খেতে দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে। ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সাতজন। পুলিশ সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় দীর্ঘ যুক্তি-তর্ক শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁশুলী (পিপি) সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাতজন আসামীই জামিনে ছিলেন। এদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় রঞ্জু ও আশরাফ নামে দুইজন পলাতক ছিলেন। অন্য পাঁচজন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আসামীদের মধ্যে ছয়জন ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অপরদিকে ওই অভিযুক্ত নারী এঘটনায় সহায়তা করেন। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।