মোঃ সোহেল রানা ( বরগুনা )ঃ
বরগুনার বেতাগীতে মোবাইলে ফোন দিয়ে এসিল্যান্ড পরিচয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে দুই মিষ্টি ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আরিফ মোকামিয়া বাজারের এক মিষ্টি কাছে গিয়ে এসিল্যান্ড কথা বলবেন বলে মুঠোফোন তাঁর কাছে দেন। মোকামিয়া বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী সেলিম মাতুব্বর উদ্যোক্তার ফোন থেকে কথা বলেন। এ সময় কলদাতা নিজেকে বেতাগী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী সেলিমের কাছে তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর জানাতে চান। এরপর সেলিমের ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন দিয়ে এসিল্যান্ড পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি সেলিমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন।

মদিনা মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম মাতুব্বর বলেন, মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আরিফ দোকানে এসে বেতাগীর এসিল্যান্ড আমার সাথে কথা বলবেন বলে তাঁর ফোন ধরিয়ে দেন। অপরপ্রান্ত থেকে ফোনে নিজেকে বেতাগীর এসিল্যান্ড পরিচয় দিনে আমার নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। এরপর তিনি আমার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নাম্বার চাইলেন। আমার নাম্বার দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আমার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দিয়ে তিনি বলেন, আমরা পুলিশ নিয়ে মোকামিয়া বাজারের মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো। মিষ্টির দোকানে ভেজাল পাওয়া গেলে দোকান সিলগালা করে দেওয়া হবে। আপনি যদি লিস্ট থেকে আপনার নাম কাটাতে চান তাহলে ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। আমি টাকা দিতে পারবোনা জানালে তিনি ফোন কেটে দেন।

মোকামিয়ার লঞ্চঘাট এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী মো. মিল্টন বলেন, মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আরিফ আমাকে ফোন দিয়ে বলেন বেতাগী উপজেলা থেকে আমাকে কেউ কল দিলে আমি যেন কথা বলি। এরপর এক ব্যক্তি আমার মোবাইলে কল দিয়ে বলেন আমি উপজেলার একজন কর্মকর্তা। আমি মিষ্টির দোকানের তথ্য সংগ্রহ করি। আপনার মিষ্টির দোকানে সমস্যা আছে। সেই বিষয়ে আপনার সাথে কথা আছে। তাঁর কথাবার্তা আমার সন্দেহ হলে আমি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ফোন কেটে দেই।
বেতাগী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, চাদাবাজির দাবির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন ।