বিপুল ইসলাম আকাশ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া এবং কনকনে ঠান্ডায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন বিপর্যাস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো কাবু হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। গত শনিবার সপ্তাহ হতে ঘন কুয়াশা কন-কনে ঠান্ডা শুরু হয়েছে। স্থবির হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডার কারণে কর্মজীবি এবং শ্রর্মজীবি শ্রেণির মানুষজন যথানিয়মে কর্মস্থলে যেতে বিলম্ব। স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা অতিকষ্টে প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করছে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে এমনকি কাঁথা গায়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারন করছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু এবং প্রসূতি মারা অনেক কষ্টে রয়েছে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে ঠান্ডার কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। অবৈধভাবে পরিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত অটোবাইক অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এদিকে কন কনে ঠান্ডায় লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে উপজেলার ধনুকররা। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০ খানা কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সবেমাত্র ঠান্ডা দেখা দিয়েছে। চাহিদা পাঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।