শফিকুল ইসলাম সাগর, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চৌকস পুলিশ পরিদর্শক ইনচার্জ সেরাজুল হক এর নেতৃত্বে তদন্ত কেন্দ্রের চৌকস পুলিশ টিম সহ, গাইবান্ধার বিজ্ঞ পারিবারিক আদালত কর্তৃক ৩ মাসের সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী যাহার মামলা নম্বর ৬৩/২০১৭(সাদুল্লাপুর) গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলে চন্ডিপুর গ্রামের মৃতঃ শের আলীর পুত্র মোঃ দুলু মিয়াকে ১ জানুয়ারি শনিবার রাত্রি ৮ঃ৩৫ মিনিটে ধাপেরহাট মহাসড়ক থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সুদক্ষ পুলিশ পরিদর্শক ইনচার্জ সেরাজুল হক নতুন বছরের শুরুতেই এক চমক দেখালেন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী দুলুকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে।

গত প্রায় ৬ মাস পুর্বে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন পুলিশ পরিদর্শক সেরাজুল হক। তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করার পর থেকে একের পর এক সফল অভিযান চালিয়ে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

ধাপেরহাট এলাকায় অপরাধ দমনে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন ইনচার্জ সেরাজুল হক। তার সফল নেতৃত্বে অত্র এলাকার অপরাধ অনেকটাই কমে এসেছে।

ইতিপূর্বে, ইনচার্জ সেরাজুল হক ধাপেরহাট বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের ট্রাক আটক করার মধ্য দিয়ে তার এখানে কার্যক্রম শুরু হয়।

এরপর রংপুর – বগুড়া মহাসড়কে নৈশকোচ হানিফ এন্টারপ্রাইজ ও ডিপজল এন্টারপ্রাইজে ডাকাতির মামলায় ১০ আসামীকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে গ্রেফতার করে তিনি তার আরেক দফা দক্ষতার পরিচয় দেন।

এরপর তিনি হত্যা মামলার আসামীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন।

এরপরে ৩২০ বস্তার চিনির ট্রাক ছিনতাই নাটক মামলার দু’জন আসামীকে গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত চিনি উদ্ধার করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দেন।

এছাড়াও ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এরিয়ার মধ্যে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, তাস, জুয়া,মাদক থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ নির্মুল করতে কাজ করে যাচ্ছেন ইনচার্জ সেরাজুল হক। বেশ কিছু ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন তিনি। এছাড়াও ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে ধাপেরহাট এলাকা তথা বিভিন্ন মহলে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন।

ধাপেরহাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন ইনচার্জ সেরাজুল হক।
এমন পুলিশ অফিসার পেয়ে অত্র ধাপেরহাট এলাকার জনসাধারণ খুশি।