মোঃ আল-আমিন ইসলাম, কয়রা (খুলনা)ঃ

খুলনার কয়রার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর কয়রা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। সেতুর দুই পাশে নেই কোনো রেলিং, বেশির ভাগ পিলারের পলেস্তারা উঠে গেছে এবং মাঝখানে ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভেঙে যাওয়া সেতুটির বড় একটি অংশে কাঠের পাটাতন ও বাঁশ বিছিয়ে দিয়ে পার হচ্ছে ৪ গ্রামের হাজারো মানুষ ও যানবাহন। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

কয়রা গ্রামের শিক্ষক আবদুল ওহাব ও গোবরা গ্রামের গৃহিণী সুফিয়া খাতুন বলেন, সেতু দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় বাবা-মার। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিন ধরে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর

ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, সেতুটি। ২ নম্বর কয়রা ও ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে ১৯৯৬ সালে খালের ওপর নির্মিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই। কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, কখন যেন এটি ভেঙে পড়ে। এমন আশঙ্কা নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে।

প্রতিনিয়ত চলাচল করছে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ দারুল হুদা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।