ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার আমসড়া গ্রামের নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর ৯ বছরের শিশু সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ বাবা শরিফুল ও প্রতিবেশী মামা হাসমতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শরিফুল ও হাসমত আলী দেওয়া তথ্যে মতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং) সকালে ওলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু সানজিদা খাতুন (৯) শাহিনের মেয়ে। প্রথম স্বামী শাহিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। আসামি শরিফুল ওলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে ও শিশুটির সৎবাবা। হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ও শিশুটির নানা বাড়ির প্রতিবেশী।
সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দেড় মাস আগে জরিনা শ্বশুড়বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন শরিফুল। হাসমত আলী তাকে বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই তোমার স্ত্রীকে ফেরত পাবে।
ঘটনা গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং মাদ্রাসায় যাবার পথে সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করেন হাসমত ও শরিফুল। কিন্তু শিশুটি চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে যায় তারা। এরপর ওই দিন রাতেই তারা মরদেহ পাশের একটি ধানক্ষেতে পুঁতে রাখেন। এমত অবস্থায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সানজিদার সন্ধান না পেয়ে তার নানা জহুরুল ইসলাম রোববার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি হওয়ার পর অনুসন্ধান চালিয়ে শরিফুল ও হাসমতকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা সানজিদাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তাদের দেয়া তথ্যমতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান বলেও জানান ওসি।