মেনহাজুল ইসলাম তারেক, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

দেশের বৃহৎ কয়লা খনি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১২০৯ ফেইস হতে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। ১ মাস ১৬ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু হলো। বৃহস্পতিবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়।

জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে প্রথম দিকে পরীক্ষামূলক ভাবে দৈনিক ১.৫০০ থেকে ২.০০০ হাজার টন এবং পরবর্তীতে দৈনিক ৩.০০০ হাজার থেকে ৩.৫০০ হাজার টন হারে কয়লা উত্তোলিত হবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহের লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল পরিচালনা পর্ষদের দিক নির্দেশনায় বিসিএমসিএল ও কনসোর্টিয়াম এর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় শ্রমিকদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পূর্বেই ১২০৯ ফেইস হতে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে।

জানা যায়, ১৪১২ ফেইসের কয়লা উত্তোলন শেষে সকল ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ যথাযথ ভাবে মেইন্টেন্যান্স করণ এবং চীন থেকে আসা নতুন এক সেট পাওয়ার সাপোর্ট ১২০৯ ফেইসে ইন্সটলেশন শেষে এই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। এই ফেইসের কয়লা উত্তোলন লক্ষ্য মাত্রা ৩.৬০ লক্ষ টন। যা আগামী জুলাই ২০২৪ মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উত্তোলিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তোলিত সমুদয় কয়লা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।
১২০৯ ফেইসে’র পূর্বে ১৪১২ ফেইস থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে কয়লা উত্তোলন শেষ হয়।১৪১২ ফেইস হতে ২.২০ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্য মাত্রা’র বিপরীতে প্রায় ২.৭২ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। যা লক্ষ্য মাত্রা’র চেয়ে শতকরা প্রায় ২৪ ভাগ বেশি। ফেইসের যাবতীয় ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ শেষে খনির নিরাপত্তার স্বার্থে গত ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে ফেইসটি সীল করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য,বর্তমানে বিসিএমসিএল ও পিডিবি প্রান্তে পিডিবির অনুকূলে প্রায় ৭৫ হাজার টন কয়লা’র মজুদ রয়েছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক ১৮০ মেগাওয়াট হারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপরীতে দৈনিক প্রায় ১.৮৫০ টন কয়লা ব্যবহার করছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম নতুন ফেইসে কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।