রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক লায়েকুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন  হয়েছে। রাজবাড়ী জেলা শহরের পুলিশ লাইন নতুন বাজার সংলগ্ন পৌর ১ নং কবরস্থানে। রবিবার বাদ মাগরিবের নামাজের পর রাজবাড়ী জেলা শহরের আঞ্জুমান ই কাদেরীয়া (বড় মসজিদ) প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।সন্ধ্যার পর দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বিকালে রাজবাড়ী জেলা শহরের কাজিকান্দা গ্রামের লায়েকুজ্জামানের মামা শ্বশুরের বাড়ি তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাগেছে, পারিবারিক সিদ্ধান্তে লায়েকুজ্জামানের মরদেহ তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দার পরিবর্তে রাজবাড়ীতে দাফন করা হয়।

পারিবারিক ভাবে জানা যায়, গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
লায়েকুজ্জামানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তাঁর বর্তমান কর্মস্থলের সহকর্মী ও রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এস আর জে সুমন। তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে পত্রিকা অফিসে কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকর্মীরা তাঁকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লায়েকুজ্জামান সর্বশেষ দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লায়েকুজ্জামান ১৯৬৪ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।