রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে আওয়ামীলীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তিনজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটে।
এবিষয়ে বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগি সাংবাদিক ইমরান হোসেন লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম শেখ মো. ওহিদুজ্জামান। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
লাঞ্ছিত সাংবাদিকেরা হলেন ইমরান হোসেন, আতিয়ার রহমান ও শহিদুল ইসলাম। ইমরান মাছরাঙা টেলিভিশন ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি, আতিয়ার রহমান দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এবং শহিদুল ইসলাম দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সুবিধাভোগীদের জন্য ভিজিএফএর ৯ হাজার ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এলাকার অতিদরিদ্র মানুষ ১০ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন। সুবিধাভোগিদের আগে থেকেই নির্ধারিত কার্ড দেওয়া হয়। কার্ড দেখিয়ে সুবিধাভোগীদের চাল নেওয়ার কথা।
ইমরান হোসেন বলেন, মূলঘর ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বেজকোলা এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কাটা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। সংবাদ সংগ্রহ করে চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে যাই। ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার সময় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা জানতে পারি। এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। প্রথমে চেয়ারম্যানের এক সহযোগি আমার ওপর চাড়ও হন। এরপর চেয়ারম্যান আমাকে ধাক্কা দিয়ে বারান্দা থেকে মাটিতে ফেলে দেন। আমার সহকর্মীদেরও মারধর করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, আমার ইউনিয়নে মোট ৯০৪ জনের জন্য বরাদ্দ পেয়েছি। এসব কার্ডের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ১৫ শতাংশ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ৪৫টি, ভাইস চেয়ারম্যানকে ৩৫টি, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিজন মেম্বারকে ৩৫টি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের ১৮০টি কার্ড দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে ৮০টি কার্ড ছিল। ওই সাংবাদিকেরা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমার কাছে আসে। আমাকে নিয়ে একটা খুব বাজে কথা বলে। এঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে রাগারাগি হয়েছে। ধাক্কা দেওয়া বা লাঞ্ছিত করা হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত। এবিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।