ওয়াসিম শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

র‌্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলার তারাশ উপজেলার ঝুরঝুরি এলাকার অপহরণকৃত মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার ও ০৫ জন আসামি গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ই এপ্রিল ২০২৪ইং) দুপুরে র‌্যাব-১২ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. তারিখ রোজ শুক্রবার বেলা অনুমান ৩.০০ ঘটিকায় সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ঝুরঝুরি এলাকা হতে মোঃ মারুফ হাসান (১২) বাড়ির বাহিরে যায়। অতঃপর সন্ধ্যা হয়ে এলেও মারুফ হাসান বাড়িতে ফিরে না আসায় তার অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও মারুফ হাসানকে না পেয়ে তার বাবা মোঃ মোশারফ হোসেন গত ০৫/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখ তাড়াশ থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং-২৬৮, তারিখ-০৫/০৪/২০২৪ খ্রি.। মারুফ হাসানকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে র‌্যাব-১২। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন বিপিএম, পিপিএম, অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর সার্বিক দিকনির্দেশনায়, মারুফকে অপহরণের সন্দেহে প্রথমে ০৩ (তিন) জনকে আটক করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্য মতে আজ ভোর অনুমান ০৪.৫৫ ঘটিকায় সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানাধীন ঝুরঝুরি বাজারস্থ তালুকদার মার্কেটের পিছনে সেপটি ট্যাংকের ভেতর হতে র‌্যাব-১২’র ব্যাটালিয়ন সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক টিম অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র ভিকটিম মারুফ হাসানের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র মারুফ হাসানের হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন আরো ০২(দুই) জনসহ মোট ০৫ (পাঁচ) জন সন্দিগ্ধ হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণরা হলেন, ১। মোঃ আবুল হাশেম (হাসু) (৪৮), পিতা- মৃত- তফের, ২। মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪৫), পিতা- মোঃ মোশারফ হোসেন, ৩। মোঃ আল আমিন হোসেন (২২), পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম, ৪। মোঃ ওমর ফারুক (২২), পিতা- মোঃ রফিক হোসেন, ৫। মোঃ কাওছার হোসেন (১৯), পিতা- মোঃ সাইদুর রহমান, সকলের গ্রাম- ঝুরঝুরি, থানা- তাড়াশ, জেলা- সিরাজগঞ্জ।
গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করার আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন ।