মোঃ ইসমাঈল হোসেন, বগুড়া সদর প্রতিনিধিঃ

বগুড়া গাবতলী উপজেলার দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নের লাংলুহাট সংলগ্ন প্রায় সাড়ে ৭ বিঘা সরকারি খাস জমির দখল করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে।এলাকায় গিয়ে স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, শিমুলতাইর গ্রামের মোঃ আতিকুর রহমান শিপন (৫৮)ও তার ভাই মোঃ সিজু মিয়া (৫৬) উভয়ের পিতা আব্দুর রহিম, অত্র এলাকার মৃত্যু কালু মিয়ার ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা মোঃ মানিক মিয়ার সহযোগিতায় সরকারি সাড়ে ৭বিঘা খাস জমি দখল করে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি কাগইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আজিজ জানতে পেরে সেখানে গিয়ে তাদেরকে পুকুর খনন করতে নিষেধ করেন, কিন্তু তারা তার নিষেধ উপেক্ষা করে পুকুর খননের কাজ অব্যাহত রাখেন।এ বিষয়ে কাগইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান আমার অফিসের এম এস মূলে জায়গাটি খাস, তাই আমি তাদেরকে পুকুর খননে নিষেধ করি কিন্তু তারা আমার নিষধ অমান্য করলে আমি বাধ্য হয়ে ২৪/০৪/২০২৪ইং তারিখে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় একটি এজাহার দাখিল করি।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বন্যা ও গাবতলী থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান যে আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানে অভিযান চালিয়ে এস্কেভেটরের চাবিজব্দ সহ অভিযান অব্যাহত রেখেছি।কিন্তু এরপরও থামছে না পুকুর খননের কাজ তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে বিকল্প চাবি দিয়ে ভিকু চালিয়ে পুকুর খননের কাজ অব্যাহত রেখেছে।পুকুরের দক্ষিণ পাশে রয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুর সম্প্রদায়ের দুটি উপাসনালয় যা যেকোনো সময় পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কিন্তু প্রভাবশালী মানিক মিয়াসহ এই ভূমিদস্যুদের হুমকি ধামকিতে এলাকার কেউ মুখ খুলছেন না।এ বিষয়ে দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নের চৌকিদার গোবিন্দের সঙ্গে কথা হলে,তিনি জানান গাবতলী পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি তদারকি করছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,পুকুরের আশপাশে আমাদের বাড়িঘর আমরা খুব আশঙ্কায় রয়েছি এছাড়াও পুকুরের আশপাশে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মত গাছ কেটে বিক্রয় করেছেন এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি