মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

এই দুনিয়া অনেক কিছু দেখার বিষয় আছে তা আজ প্রমানিক কম বয়স এই মহিলার আগে বিবাহ হয়েছিল মহিলার ঐ ঘরে দুইটি মেয়ে সন্তান আছে, তাও নাদিমের বা ২১ বছরের ছেলে হতে দুই এক বছরের বড় হবে আমাকে জানানো হয় ,তবে পু্র্বের স্বামীর সাথে তেমন সম্পর্ক ভাল ছিল না, তাই এই সুযোগ মহিলা নিয়েছে। ছেলে মেয়ে হবে মা বয়সী, কুড়িগ্রামের থেকে ৪৩ বছর বয়সের এক নারী স্ত্রীর দাবি নিয়ে ২২ বছর বয়সের স্বামীর বাড়িতে অনশন করেছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের হুগলি গ্রামে স্বামী নাদিম সরদার (জহির) বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই নারীকে সেখানে বসে থাকতে দেখা গেছে।
স্বামী নাদিম সরদার হুগলি গ্রামের বিল্লাল সরদারের ছেলে।ওই নারী কুড়িগ্রাম জেলার কবিরাজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাদের দুজনের ফেসবুকে পরিচয়। পরে গত এক বছর ধরে ফেসবুকসহ ইমু ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা আজিমপুর এলাকায় এক কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয় বলে দাবি করছেন ওই নারী।ওই নারী জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি তারা দুজনে বিয়ে করে একাধিকবার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলেও থেকেছেন। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন নাদিম। তাই গেল ঈদুল ফিতরের পরে নাদিমের বাড়িতে আসলে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আবার মোবাইলে কল দিলে রিসিভও করে না। সে সম্পর্ক অস্বীকার করছে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে আবার আজ বৃহস্পতিবার স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে নাদিমের বাড়িতে এসে তিনি অনশন শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে নাদিম সরদার মুঠোফোনে বলেন, ওই নারী সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু পরে জানতে পারি তার বয়স অনেক। তিনি আমার কাছে বয়স লুকিয়েছে। তাই পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে যায়। তিনি কি জন্য আমার বাড়িতে এসেছে জানিনা। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
একই এলাকার বাসিন্দা রাজিব ব্যাপারী জানান, ওই নারী দুপুরের পর থেকে ওই বাড়ির উঠানে বসে আছে। আর গ্রামের লোকজন তাকে দেখতে ভিড় করছেন। কি করে সম্ভব এই নারীর সঙ্গে নাদিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুনেছি আবার তাদের নাকি বিয়েও হয়েছে। বিয়ের পর ডির্ভোস হয়েছে শুনেছি। এতে গ্রামের সম্মান হানি হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দুজনেরই প্রাপ্ত বয়স। যদি অভিযোগ পাই, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।