মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :

রাজবাড়ীর কালুখালীতে মোতালেব ওরফে তালেব (৪০) হত্যা মামলায় চার আসামিকে  যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে রাজবাড়ী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এই রায় দেন। এঘটনায় দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের নেপাল বিশ্বাসের ছেলে নরেশ বিশ্বাস, হাটবাড়ীরা গ্রামের সবুজ বিশ্বাস, বলাই বিশ্বাস ওরফে বলরাম ও কুমারেশ মন্ডলের ছেলে সঞ্জিত মন্ডল। রায় ঘোষনার সময় নরেশ বিশ্বাস ও সবুজ বিশ্বাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত মোতালেব বুদ্ধিতে একটু হালকা ছিল। তার বাড়ি ছিল পাংশা উপজেলার বাগদুল গ্রামে। হত্যার বিশ বছর আগে বিয়ে করে কালুখালী থানার পাতুরিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। এক পর্যায়ে তাদের সাথে বনিবনা  না হওয়ায় মোতালেব তার শশুর ইয়াকুব আলী শেখকে নিয়ে কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া গুচ্ছ গ্রামের পাশে সরকারি খাস জমিতে বসবাস করতেন।  ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোতালেবের পরিবারের লোকজন জানতে পারে তার লাশ গড়াই নদীতে ভাসছে। পরে  এলাকার বাসির সহযোগীতায় নদী থেকে মোতালেবের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনয়ায় ওই দিনই মোতালেবের  ভাই রমজান আলী শেখ বাদী হয়ে কালুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবিলক প্রসিকিউটর (পিপি) উজির আলী শেখ বলেন, মৃত মোতালেবের মেয়ে মিতুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসামিরা তার সাথে খারাপ আচারণ করে। মিতুর ওই রাতে বাড়ি ফিরতে দেড়ি করলে তার বাবা তাকে খুঁজতে বের হয়। তারপর আসামিদের সাথে তার মেয়ে মিতুকে দেখতে পায়। একপর্যায়ে মোতালেব তার মেয়েকে গালমন্দ করলে আসামিরা মোতালেবকে আটকে রেখে মিতুকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে আসামিরা মোতালেবকে নির্যাতন করে হত্যা করে। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। অপরাধীদের শাস্তি হলে মানুষের মধ্যে অপরাধের প্রবণতা কমে আসবে।