শফিকুল ইসলাম সাগর গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

মানষিক রোগী পিন্টু কে খাদ্য সহায়তা, ভাতা কার্ড প্রদান ও চিকিৎসার আশ্বাস দিলেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রোকসানা বেগম।

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের দরিদ্র অটোভ্যান চালক বুদা মিয়ার ছোট ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান পিন্টু (৩৩) কে নিয়ে গত ৮ এপ্রিল সরেজমিনে প্রতিবেদন করেন দৈনিক আমার সংবাদ সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দীন ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম সাগর । শিকলে বন্দী পিন্টু’র জীবন শিরোনামে নিউজ টি গত দুই দিন ধরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ও অনেক পত্র-পত্রিকা সহ স্হানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত নিউজ গুলো জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজ দেখে প্রতিবেদক কে ফোন করেন গাইবান্ধা জেলার মানবিক ও সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোঃ অলিউর রহমান মহোদয়। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক বিষয় টি নিয়ে দেখভাল ও খোঁজ খবর নিতে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজ সেবা দপ্তরকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল রবিবার বিকাল তিনটায় সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তরের সহায়তায়, খাদ্য সহায়তা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড সহ উপস্থিত হন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রোকসানা বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাদুল্লাপুর উপজেলার এসিল্যান্ড তাইফুর রহমান, সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের ইউনিয়ন কর্মী নাজমুল হোসেন সহ আরো অনেকে। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার সংবাদ সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ জালাল উদ্দীন প্রামাণিক, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও বিডি গাইবান্ধা. নিউজ এর প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম সাগর, খামার পাড়া সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাজু আহমেদ, সাংবাদিক মাখন, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ মিলন, ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আবু তালেব সহ স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রোকসানা বেগম, পিন্টু’র পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে পিন্টু’র উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্হা করা হবে। তাঁর চিকিৎসার জন্য যাবতীয় খরচ আমরা বহন করবো।
এছাড়া তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে খাদ্য সহোযোগিতার পাশাপাশি ভাতা কার্ড তুলে দেন।

সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তরের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত সহযোগিতা ও সেবা পিন্টু’র পরিবারকে প্রদান করা হয়।
১. প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ সম্পন্ন করণ।
২. প্রতিবন্ধী ভাতা পরিশোধ বহি তার হাতে তুলে দেওয়া।
৩. খাদ্য সহায়তা।
খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে -চাল-২০ কেজি,মসুর ডাল-২ কেজি,সয়াবিন তেল- ১ লিটার,লবণ – ১ কেজি, পেয়াজ- ২ কেজি,কাঁচা মরিচ -১ কেজি,আলু- ৫ কেজি।
পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে রয়েছে -আপেল-১ কেজি,কমলা -১ কেজি,খেজুর ১/২ কেজি,আঙ্গুর ১/২ কেজি।

এমন দুঃসময়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসন কে পাশে পেয়ে পিন্টু’র মা,বাবা মন খুলে গাইবান্ধার ডিসি ও সাদুল্লাপুরের উপজেলা প্রশাসন,সমাজ সেবা দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি দোয়া করেন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।