মো. নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, রাজবাড়ী :

ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ফুল বিক্রির প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাজবাড়ীর ফুল ব্যবসায়ীরা। ফুলের দোকান যেনো নয়, দেখে মনে হয় এক ফুলের বাগান। সারাবছর জুড়ে ফুল বিক্রি হলেও ফেব্রুয়ারি মাসের এই দিনগুলোতে ফুলের দোকানগুলো যে সেজে ওঠে এক অনন্য রূপে। থোকায় থোকায় বিভিন্ন ফুল থাকলেও গোলাপের তুলনায় তা কিছুই নয়। তবে কি হবে এত গোলাপ দিয়ে !

যেহেতু ফেব্রুয়ারি মাস মানেই ভালোবাসার মাস। এই মাসের সাত থেকে চৌদ্দ তারিখ পর্যন্ত প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য একটি বিশেষ দিন। যা শুরু হয় রোজ ডে বা গোলাপ দিবস দিয়ে এবং শেষ হবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে দিয়ে। প্রতিবছর ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব গোলাপ দিবস বা রোজ ডে পালন করে থাকেন সকলে।

এরপরেই রয়েছে প্রপোজ ডে। উপমহাদেশের ভারতে দিবসটি প্রতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে পালিত হয়। এই দিবসে তরুণ বয়স্ক ছেলেমেয়ে তাদের বন্ধু-বান্ধবী, প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু এবং পরিচিতদের গোলাপ দিয়ে প্রস্তাব দিয়ে থাকে।

মাঝের দিনগুলোতে ফুলের চাহিদা কিছুটা কমে গেলেও ব্যবসায়ীরা হিমসিম খেয়ে যায় চৌদ্দ তারিখে। কারণ এ দিনটি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। রোজ ডে, প্রপোজ ডেসহ, সবগুলো দিনেই যা ফুল বিক্রি হয়, ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে একদিনের তার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায়। এই দিনে বাংলা বছরের ফাল্গুন মাস শুরু হয়। আর ফাগুন মানেই তো ভালোবাসা।

তাই এসকল দিনগুলোকে ঘিরে ফুল ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করছে দারুণ উদ্বেগ। তাদের দাবি এবছর অন্যান্য সময়ের থেকে বেচাকেনা তুলনামূলক অনেক কম হচ্ছে। তবে এইসময়টাতে তাদের প্রত্যাশা একটু বেশি বেচাকেনার।

রাজবাড়ী জেলা শহরের পান্না চত্ত্বরের ফুল ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার বলেন, প্রতিবছর এই সময়েও ফুল ক্রেতাদের যেমন ভীড় দেখা যায়, এবছর এখোনো তেমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না। বেশ কয়েকমাস যাবত এমনিতেই বেচাকেনা একেবারেই কম। এটাই আমাদের ব্যবসার সিজন৷ এখনো এরকম হলে আমাদের জন্য সেট খুবই খারাপ হবে।

শহরের আরেক ফুল ব্যবসায়ী কালাম মন্ডল বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের ব্যবসার মূল সময়। এই মাসেই রয়েছে বিশেষ কিছু দিন। আমরা এইদিনগুলোতে বিক্রির জন্য ফুল সংগ্রহ করে দোকান সাজিয়েছি। দেশে এক অন্যরকম অবস্থা তৈরি হওয়ায় ব্যবসা একেবারেই কমে গেছে৷ তবে আশা করছি আমরা প্রতিবছরের মতো এইসময়টা ভালো বেচাকেনা করতে পারবো।

মৌসুমি ফুল ব্যবসায়ী শেখ ফয়সাল বলেন, আমি শহরের পান্না চত্ত্বরের একটি মার্কেটে কসমেটিকস এর ব্যবসা করি। তবে প্রতিবছর এই ফুল ব্যবসার মৌসুমে আমি আমার দোকানে কিছু ফুল কিনে রাখি বিক্রির উদ্দেশ্যে।  তবে মূল ব্যবসায়ীদের থেকে জানতে পেরেছি এবছর বিক্রি স্বাভাবিক সময়েই তুলনামূলক কম হয়েছে। তাই কিছুটা শংকা নিয়েই এবার ফুল এনেছি। তবে আশা করছি দিবসগুলোকে কেন্দ্র করে বেচাকেনা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।