মেনহাজুল ইসলাম তারেক, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:

পার্বতীপুরের মরনাই চন্দরা পাড়া গ্রামে প্রতিহিংসা পরায়ন দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবেশীদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামের হামিদুর রহমান, আব্দুস সামাদ ও আমজাদ হোসেন সহ তিনটি পরিবারের লোকজন এখন এক প্রকার অবরুদ্ধ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।

পার্বতীপুর মডেল থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, হামিদুল, আব্দুস সামাদ ও আমজাদ হোসেন তাদের বাপ-দাদার আমল থেকে ১০৫৯ নং দাগের ২৪ শতক ডাঙ্গা ভিটায় নির্মিত বসতবাড়িতে বসবাস করে আসছে। তাদের প্রতিপক্ষ একই বংশের মানু ও মাফিজুল। দুই পক্ষের বাসা বাড়ির মাঝ খানেই রয়েছে সকলের চলাচলের রাস্তা। বংশের সব পরিবারের লোকজন এতদিন ওই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে আসছিলো। এছাড়াও রাস্তাটিতে উভয় পক্ষের সমান জমিও ছেড়ে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে প্রতিপক্ষ মানু ও মাফিজুল রাস্তাটি তাদের একক জমির উপর রয়েছে বলে দাবি করে, হামিদুর রহমান সহ অন্য দুই পরিবারকে চলাচলে বাঁধা দেন। প্রতিপক্ষরা গোটা রাস্তাটি তার কাটার বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়ে তিনটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। বর্তমানে ওইসব পরিবারের লোকজন অন্যের ফসলী জমির আইল ও পুকুর পাড় দিয়ে অতি কষ্টে চলাচল করছে। প্রতিপক্ষরা ইট, বালু সিমেন্ট মজুদ করছে। তারা স্থায়ী প্রাচীর নির্মান করা শুরু করলে যেকোন মূহুর্তে উভয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

প্রতিপক্ষদের প্রতিহিংসার শিকার জনৈক দুলু জানান, মানু ও মাফিজুল কর্তৃক রাস্তায় চলাচলের বাঁধা প্রদান ও তাদের আগ্রাসী আচরণের কারনে তিনি সহ মোট ৭টি পরিবার ইতোমধ্যেই নিজ ভিটে মাটি বিক্রি করে বসতঘর সরিয়ে বর্তমানে অন্যত্র বসবাস করছে। প্রতিপক্ষ মানু ও মাফিজুল তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি সত্য নয় বলে মতামত দেন।

পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।