রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ ৩১দফা বাস্তাবায়নে জেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐক্যবদ্ধ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের আজাদী ময়দানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদপুর বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক খন্দকার মাশুকুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদ্যস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. আসলাম মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. কামরুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশীদ, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নঈম আনসারী, সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, রাজবাড়ী পৌর সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, জেলা যুবদলের আহবায়ক খাইরুল আনাম বকুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেলালুজ্জামান লালু বলেন, ‘গত ৫ আগষ্টের যে অভ্যুত্থান হয়েছে সে আন্দোলনের মহানায়ক ছিলেন তারেক রহমান। এই অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। আমরা চাইনা এই সরকার ফেল করুক। ছাত্রদের দল হচ্ছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু পতিত সরকারের কোন দোসর যদি ছদ্মবেশে কোন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয় তাহলে এদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।’
তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনার সংস্কারের কথা বলেছেন। এই সংস্কারের কথা আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফার মধ্যে দিয়েছেন। আপনারা সব কিছু সংস্কার করার প্রয়োজন নেই। একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার এসে সবকিছুর সংস্কার করবে।’
তিনি আরও বলেন, যদি দেশে সুষ্ঠু ভোট হয়। মানুষ যদি আমাদের উপর আস্থা রাখে তাহলে দেশের রাষ্ট্র প্রধান হবে বেগম খালেদা জিয়া। আর প্রধানমন্ত্রী হবে তারেক রহমান।
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাদের নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়েছে ৬মাসের বেশি সময়। হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু জিনিসের দাম কমে নাই। আপনারা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেন নাই। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। এখনও রাস্তায় নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে। এখনও খুন হচ্ছে। ইউনুস সাহেব আপনি গত ৬ মাসের কোন সংস্কার করতে পারেন নাই। আপনারা বলছেন আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। কিন্তু আমরা মনে করি কোনভাবেই জাতীয় সরকারের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নয়।’
জানা যায়, রাজবাড়ীতে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে সভা সমাবেশ করে আসছে বিএনপি। এর একদিকের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু, যুগ্ম আহবায় এ্যাড. আসলাম মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশীদ। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় দীর্ঘদিন পর শহরের আজাদী ময়দানে জনসভার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সমাবেশে উভয় পক্ষের নেতারা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বিএনপিকে এক ও অভিন্ন রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান করেন।