রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব দুই বছর পর প্রতিহিংসাবসত আপন ভাতিজাকে হত্যা করেছেন চাচা। রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায় পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৩ মার্চ কালুখালী পদ্মা নদী থেকে নীরব নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় হত্যার সাথে জরিত একজনকে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামির নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মিজান কালুখালী উপজেলার বাগলপুর গ্রামের টেন্ডু শেখের ছেলে।
গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, নিহত নিরবের আপন চাচা নেহাদ আলী ওরফে লিয়াকত শেখ ও কাইয়ুম শেখের মধ্যে দুই বছর আগে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এ দ্বন্দ্বের ঘটনায় নিরবের বাবা জিয়ারুল শেখ নেহাদের পক্ষ নেয়। আর এ কারণে কাইয়ুম আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত্র হয়। আর এই রাগেই কাইয়ুম শেখ প্রতিহিংসাবসত প্রথমে নিরবকে অপহরণ করে। তারপর মুক্তিপণ চায়। একপর্যায়ে নিরবকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার, কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলমাসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ কালুখালী উপজেলার পদ্মা নদীর কোল হতে নিখোঁজের তিন দিন পর নিরব নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের বাবা মো. জিয়ারুল শেখ বাদী হয়ে কালুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।