আহসান হাবীব নাহিদ, গাইবান্ধার জেলা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় চকশালাইপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ সাখাওয়াত কাজীকে জীবন নাশের হুমকীর প্রেক্ষিতে ২৮শে এপ্রিল সোমবার বিকাল ৫ টায় চকশালাইপুর মাদ্রাসা বাজার সংলগ্ন খলিলের চাতালে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রতিবাদ সভার সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোঃ শাহানুর মিয়ার সঞ্চালনায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক ৪নং জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম রেজা’র ছোট ভাই মোঃ একরামুল কাজী, এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ সাজু মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সভায় অনেকে জানান যে গত ১০ নভেম্বর ২৪ ইং তারিখে চকশালাইপুর আলিম মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালীন সময়ে হটাৎ অতর্কিত স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ মাদ্রাসায় প্রবেশ করে অধ্যক্ষ সাহেব এর অফিস রুমে ঢুকেন এবং অধ্যক্ষ মোঃ সাখাওয়াত কাজী’র নিকট থেকে জোরপূর্বক অন্যায় ভাবে টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদাবাজদের জোরপূর্বক অন্যায় ভাবে দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অধ্যক্ষ মোঃ সাখাওয়াত কাজী অস্বীকৃতি জানালে, চাঁদাবাজরা অফিস কক্ষেই তাকে অবরুদ্ধ করে মারমুখী হয়ে গালিগালাজ ও জীবন নাশের হুমকীধামকী প্রদর্শন করতে থাকলে পুলিশি জরুরী সেবা ৯৯৯ -এ বিষয়টি অবগত করা

হলে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অবরুদ্ধ অধ্যাক্ষ মোঃ সাখাওয়াত কাজীকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর থানায় নিয়ে জান। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যদের নিকট অধ্যক্ষ মোঃ সাখাওয়াত কাজীকে তাদের হাতে বুঝিয়ে দেন।

পরবর্তীতে পূণরায় বিভিন্ন ভাবে অধ্যক্ষ মোঃ সাখাওয়াত কাজীকে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে চাইলে জানে মেরে ফেলবেন  মর্মে চাঁদাবাজরা হুমকিধামকি প্রদর্শন করায়। অধ্যক্ষ মোঃ সাখাওয়াত কাজী জীবন নাশের আশংকায় নির্বিঘ্নে কোথাও স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা এবং মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে পারছেন না।

কুখ্যাত এই চাঁদাবাজদের জীবন নাশের হুমকীর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় উপস্থিত না হতে পারায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার চরম ক্ষতির সাধন ও মাদ্রাসার স্বাভাবিক কার্যক্রমের বিগ্ন ঘটায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার পরিবেশ তৈরি করতে ও মাদ্রাসার স্বাভাবিক কর্যক্রম ফিরিয়ে আনতে অভিভাবক, এলাকাবাসীসহ সচেতন মহলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলাকার ও মাদ্রাসার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভুমিকা রাখতে হবে। তা করতে না পারলে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও এলাকাবাসী হিসাবে সকলের সুনামক্ষুন্ন হবে যা ভবিষ্যতের জন্য কোন ভাবেই মঙ্গলজনক নয় বলে জানান।