রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর পাংশায় রাশিদুল ইসলাম ( ৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ মে) দুপুর ১২ টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত রাশিদুল পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামের কিয়ামদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। রাশিদুল পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। তার ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৬ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাশিদুল ইসলাম বরিশালে শ্রমিক হিসেবে ধান কাটতে গিয়েছিল। ধান কাটা শেষে ২২ দিন পর বরিশাল থেকে শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাড়ি ফেরেন। তারা ১৮ থেকে ২০ জন শ্রমিক একসঙ্গে কাজ করে মজুরি হিসেবে এক ট্রাক ধান নিয়ে আসেন। ধানগুলো তারা রুপিয়াট গ্রামে সঙ্গীয় এক শ্রমিকের বাড়িতে রাখেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাশিদুল ওই ধান ভাগ করার জন্য রুপিয়াট যাচ্ছিলেন। রাশিদুল নিভা গ্রাম এলাকায় পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে স্থানীয় ইসলাম, রফিক, খালিদ, সিন্টু, সুমন, সাদ্দাম ও ইকবালসহ ২০ থেকে ২৫ জন তার পথরোধ করেন। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রাশিদুল মারা যান।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞেসাবাদের জন্য খালিদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় নি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।