মেনহাজুল ইসলাম, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

পার্বতীপুর উপজেলা ইউনিয়নের ৯ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের হওয়ার প্রতিবাদে  বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের উদ্যোগে আজ (০৩ জুন) মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় স্থানীয় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এক বিশাল মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, ফুলবাড়ি উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, ফুলবাড়ি উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি’র সহ-সভাপতি নাজমুল হক (নাজু), দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র অন্যতম সদস্য পার্বতীপুর উপজেলা যুব দলের সদস্য সচিব মাহাবুব রশীদ সংগ্রাম, হরিরামপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন (তপু), ফুলবাড়ি উপজেলার যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক আবু সাঈদ, হামিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মাফিজুল হক, যুবদল নেতা সাকিব হোসেন ডলার সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে যুবদল নেতা সাকিব হোসেন ডলারের বাসায় সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহাবুব রশীদ সংগ্রাম।

উল্লেখ্য গত ৩০ মে রাতে বড় পুকুরিয়া কয়লার খনি থেকে এক ট্রাক স্ক্র্যাব মালামাল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে খনির বাহিরে প্রায় ৬০-৭০ জন দুবৃত্ত মাল বোঝাই ট্রাকটিকে আটক করে। কর্মচারী আরিফুল হক সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪-৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঐ রাতেই পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপি’র প্রভাবশালী চার নেতার চাপেই উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন (সাদো), উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহাবুব রশীদ সংগ্রাম, উপজেলা যুবদলের নেতা মমিনুল হক, যুবদল নেতা সাকিব হোসেন (ডলার) সহ ৯ জন নেতা-কর্মীকে তদন্ত ছাড়াই কর্মচারী আরিফুল হককে বাদী করে মোট ৫১ জনকে আসামী করে মামলাটি নথিভুক্ত করে পার্বতীপুর থানা পুলিশ। উক্ত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বক্তারা। বক্তারা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, আমরা যদি ঘটনার সাথে জড়িত থাকি তবে পুলিশ যেন আমাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আর যদি আমরা জড়িত না থাকি তাহলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিএনপি’র ৯ জন নেতা-কর্মীকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের অনুরোধ করছি। এটা করা না হলে আগামীতে প্রশাসন ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।

স্ক্র্যাব মালের মালিক (ঠিকাদার) আলমগীর হোসেন বিগত আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আপন চাচাত ভাই। সে বিগত আওয়ামীলীগের শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের নামে-বেনামে লাইসেন্স ব্যবহার করে অবৈধভাবে এই স্ক্র্যাব মালের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো বলে খনির একটি নির্ভরশীল সূত্র জানিয়েছে।