রাজবাড়ী সদর উপজেলা মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুই তরুণীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার বিকাল পাঁচটায় এই মারধর করার ঘটনাটি ঘটে। তরুণী রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নাম শেখ মো. ওহিদুজ্জামান। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
ভূক্তভোগি তরুণীদের (মাহমুদা আক্তার) বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজে ডিগ্রি প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের কালীচরণপুর গ্রামের তাঁর নানাবাড়ি।
ভূক্তভোগি তরুণীর অভিযোগ, নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে হিমেলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। প্রায় পাঁচবছর ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে হিমেলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে তা আরও ঘনিষ্ট হয়। হিমেল তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। তাকে বিয়ে করার জন্য সোমবার দুপুরে তাদের এলাকায় যায়। ওই তরুণীকে সঙ্গে তিনি বিকেলে হিমেলের বাড়িতে আসে। এসময় তরুণীর সঙ্গে স্কুল পড়ুয়া ছোট বোন ছিল। বাড়িতে আসার পর তাদের রেখে হিমেল সটকে পড়ে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান তাদের ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে নেওয়ার পর তাদের মারধর করে। এলোপাথারী কিল,ঘুঁশি ও লাথি মারা হয়। তাঁর বোন মারধর ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে মামা বাড়িতে আসি। রাত ১১টার দিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আসি।
তরুণীর বোন অভিযোগ করেন, আমার বোনকে বিয়ে করে ঘরে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আসে। তাকে শাড়ি কিনে দেওয়া হয়। কিন্তু রাজবাড়ী আসার পর আর বিয়ে করে নাই। তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রথমে হিমেল ভাইয়ের বাবা আমাদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলে। আমাদের ঘরে ডেকে নেয়। এরপর তিনি আমার বোনকে মারধর শুরু করেন। আমি আমার বোনকে মারধর করা থেকে রক্ষা করতে গেলে আমাকেও মারধর করে।
হিমেলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। হিমেলের বাবা শেখ মো. ওহিদুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। ফোন রিসিভ করেন তাঁর বড় ছেলে। ‘বাবা বাইরে আছে। কিছুক্ষণ পরে ফোন করুন বলে তিনি ফোন রেখে দেন’। এরপর কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাঁর শরীরে মারধর করার চিহ্ন রয়েছে।
রাজবাড়ী থানার দায়িত্বরত এস আই মাজেদ মিয়া বলেন  অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।