মোস্তফা কামাল মামুন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে অন্যের সন্তানকে নিজের দাবি করে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানো স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ফলে আলোচিত স্কুল শিক্ষিকা আলেয়া সালমাকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮’র (৩) ধারা মোতাবেক চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
দীর্ঘ একমাসের অনুসন্ধানের পর গত ৪ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েকটা গণমাধ্যমে প্রতিবেশীর সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করার সংবাদ প্রচারিত হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। একই দিন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম তৌফিকুর রহমানকে দেয়া হয় তদন্তের দায়িত্ব। দু’দিনের টানা তদন্তে সংবাদের প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। পরে সেই শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। যা ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম শিক্ষিকার বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এই ছুটি নেয়ার বিষয়ে যারা ওই শিক্ষিকাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরও বিচার আওতায় আনা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।