সঞ্জয় দাস, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ঘর আজ বিলুপ্তির পথে।শীত ও গরম উভয় মৌসুমে আরামদায়ক খড়ের ছাউনির ঘর। এক সময় গ্রামের সাধারণ শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের প্রধান ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই খড়ের ঘর। কিন্তু বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালির ঐতিহ্যের এই চিহ্নটি।
খড়ের ছাউনির ঘর তৈরির জন্য গ্রামে গ্রামে বিশেষ কারিগর ছিল।কিন্তুসময়ের বির্বতনে তাদের সংখ্যা কমে এসেছে। বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়ন মিলেও একটা খড়ের ঘর চোখে পড়ে না। যদিও বা চোখে পড়ে সেগুলোর অবস্থা খুবই জীর্ণ । এক সময় খড়ের ঘরের ছাউনির প্রধান উপকরণ ছিল খড়। শ্রমজীবী মানুষেরা ছন এবং ধানকাটারপর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে নিপুণ হাতে তৈরি করত এই ঘর। এই ঘর তৈরিতে যারা পারদর্শী তাদেরকে নীলফামারীতে স্থানীয় ভাষায় ছাফরবন বলা হয়। তাদের মজুরিছিল ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। বিশেষ কায়দায় খড়কে সাজিয়ে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে ছাউনি দেয়া হতো। ছাউনির উপরে বাঁশ দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিত।সাধারণত বন্যা,ভূমিকম্প,ঝড় কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এসব ঘর বছরের পরবছর পর্যন্ত টিকে থাকতো।বর্তমানে নীলফামারী জেলায় চোখে পড়ে গ্রামীণ ঐতিহ্য খড়ের বেশ কিছু ঘর।