রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ভ্যান চালককে হত্যার ঘটনার ৮ বছর পরে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমীন এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) উজির আলী শেখ।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো বালিয়াকান্দি উপজেলার কুড়িপাড়া পদমদী গ্রামের মো. নুরুজ্জামান (২৯), পদমদী পূর্বপাড়ার সাইফুল শেখ (২৮), ঘোনার ঘাট গুচ্ছগ্রামের মো. আবদুল রাজ্জাক শেখ (৩৮) ও আবদুস সালাম শেখ (৫২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর কলেজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন (৩৫) ব্যাটারী চালিত ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হন। রাত সোয়া ১০টার দিকে তিনি ভ্যানে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে ছিলেন। এসময় দুইজন অপরিচিত যাত্রী ঘোনার ঘাট যেতে চায়। তাদের সঙ্গে ২৫ টাকা ভাড়া মেটানো হয়। এরপর তাদের নিয়ে বিল্লাল ঘোনার ঘাটের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু তিনি আর পরে আর বাড়িতে ফেরেন নাই। রাত ১২টার দিকে বিল্লালের মুঠোফোনে কল দেয় তাঁর স্ত্রী। এসময় ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে গালাগাল করা হয়। পরের দিন দুপুরে দিলালপুর শ্মশান ঘাট এলাকায় বিল্লালের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এছাড়া তাঁর বুক ও পিঠে কাঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়। বাম হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়। ডান হাতের তালুতে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। এঘটনার পরের দিনে অজ্ঞাতদের আসামী করে নিহতের বড় ভাই দাউদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করে।
পরের বছর (২০১৫) ১ মার্চ চারজনকে আসামী করে মামলার অভিযোগপত্র দেয় বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ। এরপর সাক্ষীগ্রহণ ও উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে আদালতের বিচারক এই রায় দেন।
রায়ের সত্যতা স্বীকার করেছেন পিপি উজির আলী শেখ। তিনি বলেন, আসামীদের মধ্যে মো.নুরুজ্জামান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের পর রায় কার্যকর করা হবে।